বসিরহাট, 31 মে: ভোট রাজনীতিতে বঙ্গে আবারও ফিরল জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের সেই গুড়, বাতাসা, নকুলদানার চল ! তাও আবার শেষ দফার নির্বাচনের ঠিক আগে । বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডলের কায়দায় এ বার হাসনাবাদের আরেক তৃণমূল নেতা পিন্টু মোল্লাও গুড়, বাতাসা, নকুলদানা বিলি করলেন দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে । শুধু গুড়, বাতাসা বিলি করাই নয় ! রীতিমতো সবুজ আবির এবং ব্যান্ড, তাসা বাজিয়ে আগাম বিজয় উৎসব পালন করলেন শাসকদলের নেতা-কর্মীরা ।
বসিরহাট কেন্দ্রে নির্বাচনের ঠিক আগে এই ঘটনায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনীতির অন্দরে । বিরোধীরা এ নিয়ে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে ভোটে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তুললেও তা মানতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব । তাঁদের দাবি, "বসিরহাটে ভোটের রায় আগেই দিয়ে রেখেছে জনগণ । এখান থেকে তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম তিন লক্ষ ভোটে জিতবেন । তাই আগেভাগেই বিজয় উৎসব পালন করা হল ।"
হটস্পট বসিরহাট কেন্দ্রে আগামিকাল ভোটগ্রহণ । সপ্তম দফায় এখানে 19 লক্ষ 5 হাজার 400 জনের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার কথা । এই কেন্দ্রের দিকে এ বার নজর রয়েছে সকলের । এর কারণ অবশ্যই সন্দেশখালির দুই প্রতিবাদী মুখ রেখা পাত্র এবং নিরাপদ সর্দার । রেখা এবার বিজেপির প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন হাইভোল্টেজ বসিরহাট কেন্দ্র থেকে । অন্যদিকে, নিরাপদ লড়াই করছেন কাস্তে-হাতুড়ি-তারার প্রতীকে । এই দু'জন ছাড়াও তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে এখানে ভোটের ময়দানে রয়েছেন বসিরহাটের ভূমিপুত্র, বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলাম এবং আইএসএফের আখতার রহমান বিশ্বাস ।
চতুর্মুখী লড়াইয়ে কেউ কারওকে একচুলও জায়গা ছাড়তে নারাজ । নির্বাচনী প্রচার শুরু হওয়ার পর থেকেই এই কেন্দ্রকে বিশেষভাবে টার্গেট করেছে শাসক-বিরোধী উভয় পক্ষ । শাসক এবং গেরুয়া শিবির ইতিমধ্যেই দাবি করেছে, বসিরহাট কেন্দ্রে তাঁদের মনোনীত প্রার্থীই জিতবেন । এ নিয়ে যখন চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে বিভিন্ন মহলে, ঠিক তখনই ভোটগ্রহণের আগেই শাসক প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের সমর্থনে বিজয় উৎসবে মাতলেন দলের নেতা-কর্মীরা । শুক্রবার এমনই ছবি ধরা পড়েছে বসিরহাটের হাসনাবাদের পাটলি খানপুর অঞ্চলে ।
এই বিষয়ে পাটলি খানপুর অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি পিন্টু মোল্লা বলেন, "এই আসন জিতে আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ইন্ডিয়া জোটকে শক্তিশালী করব । সেই কারণে আমরা এ দিন বিজয় উৎসবে মেতেছি । ভোটের ফলাফল প্রকাশের আগেই অনুব্রত মণ্ডল বীরভূমে যে কায়দায় গুড়, বাতাসা, নকুলদানা বিতরণ করতেন, সেভাবেই আমরা দলীয় কর্মীদের মধ্যে গুড়, বাতাসা, নকুলদানা বিলি করলাম । এতে কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ আরও বেড়েছে ।"