কলকাতা, 24 জানুয়ারি: কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের হাতে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল কংগ্রেসের সব নেতা-কর্মীদের পাশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন বলে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন তৃণমূলের অন্যতম শীর্ষনেতা ফিরহাদ হাকিম ।
বুধবার ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘রাজনৈতিক অভিসন্ধিতে আমাদের সকলের উপর আঘাত হচ্ছে । বিজেপি সরকারের মেশিনারি আমাদের উপর আঘাত আনছে । মুখ্যমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে নিজের ছেলেদের পাশে দাঁড়ান । দলের সকলের পাশে আছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আমি যখন গ্রেফতার হয়েছিলাম সোজা সিবিআই অফিস চলে গিয়েছিলেন । মুখ্যমন্ত্রীর চরিত্র এমন নয় যে দলের কেউ বিপদে পড়েছেন, তাঁর পাশ থেকে সরে যাবেন । বিপদের বন্ধু প্রকৃত বন্ধু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপদের বন্ধু ।’’
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে একাধিক দুর্নীতির মামলায় তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী গ্রেফতার হয়েছেন ৷ তালিকায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল, জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিকদের মতো হেভিওয়েটরা রয়েছেন ৷ অনেকের গ্রেফতারের পর দলের চুপ থাকা নিয়ে বারেবার রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে ৷ অভিযুক্ত দলের নেতা-কর্মীদের থেকে কি দূরত্ব বজায় রাখতে চায় তৃণমূল, সেই প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন সময় ৷
তবে লোকসভা ভোটের আগে বীরভূমে জেলবন্দি অনুব্রতর উপর আস্থা রেখে তাঁর অনুগামীদের বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৷ এমনকী, জেলের বাইরে এলে অনুব্রতই ফের বীরভূমের দায়িত্ব পাবেন বলেও তৃণমূল সূত্রে খবর ৷ বুধবার আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হয়ে সওয়াল করেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল ৷ এর প্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাছের লোক বলে পরিচিত রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল ।
অন্যদিকে বীরভূমে অনুব্রতর বিরোধী গোষ্ঠী বলে পরিচিত কাজল শেখকে কোর কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা নানা জল্পনা ছড়িয়েছে ৷ যদিও এই ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, সংবাদমাধ্যমে ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে বীরভূম নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক খবর সংক্রান্ত বিষয়ে । কাজল শেখ কমিটি থেকে বাদ নয় ৷ জেলা পরিষদের সভাধিপতি হিসেবে তিনি আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে কোর কমিটির সব বৈঠকেই থাকবেন । চন্দ্রনাথ সিনহা, কাজল শেখ, বিকাশ রায় চৌধুরী, অভিজিৎ সিনহা, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় - সকলকেই দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে বিধানসভা ভিত্তিকভাবে ।
আরও পড়ুন: