তমলুক, 5 মে: তমলুকে বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার মিছিল থেকে চাকরিহারাদের অনশন মঞ্চে হামলার ঘটনায় এই প্রাক্তন বিচারপতির বিরুদ্ধে তমলুক থানায় দায়ের হল অভিযোগ। শনিবার তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে মিছিল থেকে চাকরিহারা শিক্ষকদের অনশনমঞ্চে হামলার অভিযোগ ওঠে ৷ সেই ঘটনায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়-সহ আরও 50 জন বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল তমলুক থানায়।
ঘটনায় অনশন মঞ্চে থাকা একাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। বিজেপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা, ভাঙচুর-সহ একাধিক ধারার পাশাপাশি অস্ত্র আইনেও মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযোগকারী চাকরিহারাদের দাবি, অনশন মঞ্চে হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে রাজ্যজুড়ে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।
শনিবার তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে সকাল সাড়ে 11টা নাগাদ তমলুকের রাজ ময়দান থেকে হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত বিজেপির বিশাল মিছিল হয়। মিছিলটি স্থানীয় হাসপাতাল মোড়ে দিকে যাচ্ছিল। অভিযোগ, সে সময় মিছিল থেকে অবস্থানরত চাকরিহারা শিক্ষকদের মঞ্চকে লক্ষ্য করে চোর চোর স্লোগান ওঠে ৷ প্রতিবাদে চাকরিহারাদের মঞ্চ থেকেও পালটা চোর স্লোগান দেওয়া হয়।
এরপরে বিজেপি নেতা-কর্মীরা মিছিল থেকে অনশন মঞ্চের দিকে জুতো হাতে তেড়ে যান বল অভিযোগ। মঞ্চের চেয়ার ভাঙচুরের পাশাপাশি অনশন মঞ্চের দিকে ব্যাপক ইট পাটকেল ছোঁড়া হয় বলেও অভিযোগ। এছাড়াও বিজেপি কর্মীদের হামলায় বেশ কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকা আহত হয়েছেন। পুলিশ কোনও রকমে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এরপর তমলুক থানায় বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন অনশনরত শিক্ষকরা। কিন্তু শুভেন্দুর রক্ষাকবচ থাকায় তাঁর নাম পুলিশ বাদ দিয়ে দেয়।
আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রতিনিধি তথা ওয়েষ্ট বেঙ্গল তৃণমূল প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশানের সভাপতি মইদুল ইসলাম বলেন , "চাকরি খেকো বিজেপির বিরুদ্ধে আমরা তমলুকে অনশন করছি। আমি নিজেও 126 ঘন্টা অনশন করছি। সেখানেই শুভেন্দু অধিকারী ও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের নির্দেশে আমাদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়। আমাদের শিক্ষিকাদের উপর প্রাণঘাতি হামলা হয়েছে।" তবে এই ঘটনার একদিন পর অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "মিথ্যা মামলা তো কতই হয়! দেখা যাক, যারা এই মিথ্যে মামলাগুলো যাঁরা করেছেন তারা কত দিন বাঁচেন।"
আরও পড়ুন
বিজেপি নেতাকে গোরু পাচারে ফাঁসানোর হুমকি! অপসারিত হবিবপুর থানার আইসি