দুর্গাপুর, 27 এপ্রিল: নির্বাচনী প্রচারে কুকথার স্রোত ৷ একদিকে বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের ‘শুয়োরের মতো চর্বি’ রয়েছে বেলাগাম মন্তব্য করলেন ৷ অন্যদিকে পালটা জবাব দিতে গিয়েও বেফাঁস মন্তব্য করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতাও ৷ নাম না করে তিনি দিলীপকেই শুয়োর বললেন ৷
শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরে ৷ এ দিন নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন দুর্গাপুরের এমএএমসি টাউনশিপের শিবতলায় হুড খোলা গাড়ি থেকে দিলীপ ঘোষ নামতেই কালো পতাকা উড়িয়ে ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয় ৷ ঘটনাস্থলেই রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় ৷ সেখানে থাকা শাসক দলের নেতা-কর্মীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে ৷ এই নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়৷ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ ।
এই নিয়ে দুর্গাপুর নগর নিগমের 23 নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন পৌরপিতা দেবব্রত সাঁই বলেন, ‘‘আমাদের নির্বাচনী বৈঠক চলছিল ৷ তখনই তারস্বরে লাউড স্পিকার বাজিয়ে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছিলেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা, তারই প্রতিবাদ করেছেন আমাদের কর্মীরা ৷’’
এই পর্যন্ত সব ঠিক ছিল৷ কিন্তু বিপত্তি বাঁধে দিলীপ ঘোষের সাংবাদিক বৈঠকে ৷ সেখানে এই নিয়ে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘দিলীপ ঘোষের মাসল আছে, চর্বি নেই । আর ওদের শুয়োরের মতো চর্বি থলথল করছে । ওরা কী লড়াই করবে ? ওরা দলীয় কার্যালয়ের ভেতর থেকে স্লোগান দিয়েছে, যারা হরামের মাল খেয়ে চর্বি করেছে, তাদের তো রোদ লাগবেই । ভারতীয় জনতা পার্টি লোকেরা রোদে জলে লড়াই করে মাসল বানিয়েছে ।’’
দিলীপ ঘোষের এ হেন বিতর্কিত মন্তব্যের পর 23 নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা দেবব্রত সাঁই ইটিভি ভারতকে ফোনে বলেন, ‘‘শুয়োরের মতো যেখানে সেখানে গুঁতিয়ে বেড়ানো কার কাজ, রাজ্যের মানুষ জানেন । ঘোঁত ঘোঁত করে শুয়োরের মতো কথা বলা কার অভ্যাস, এটা রাজ্যের মানুষ ভালো করেই জেনে গিয়েছেন ।’’
আরও পড়ুন: