কলকাতা, 7 অক্টোবর: কলকাতা ছাড়িয়ে এখন আশপাশের জেলাগুলোয় ছড়িয়েছে দুর্গাপুজায় থিমের চল। তিলোত্তমা যখন থিমের লড়াইয়ে জেরবার, এ বলে আমায় দেখ আর ও বলে তো আমায়, সেই সময় এই লড়াই থেকে নিজেদের দূরে রেখেছে পাইকপাড়া সাধারণ দুর্গোৎসব কমিটি। তাদের মূল লক্ষ্য হল সাবেকিয়ানার পরম্পরা ও ঐতিহ্য রক্ষা করে এগিয়ে চলা।
সেই পথে হেঁটেই এবার 90 বছরে পা দিল পাইকপাড়া সাধারণ দুর্গোৎসব কমিটি । ইতিমধ্যেই গোটা এলাকাকে নানা রঙের আলোর মালায় সাজানো হয়েছে। পুজো মণ্ডপও পরিপাটি করে সুসজ্জিত ৷ উপরে সোলার নকশা।
সামনে দু'পাশ থেকে একাধিক বিরাট বিরাট হ্যালোজেন। সেই আলোয় আলোকিত গোটা মণ্ডপ। বক্সে সানাইয়ের সুর। মণ্ডপে ভিতরে মাঝ বরাবর বিরাট ঝাড়বাতি। নানা কারুকার্য। তারপরেই তিন চালায় বিরাট প্রতিমা। ভরি ভরি গহনায় সজ্জিত মা দুর্গা থেকে তাঁর সন্তানরা।
পুজোর কর্মকর্তা সুমিত ঘোষ বলেন, "আমরা ছোট থেকেই দেখে আসছি ঠাকুরের এমন গয়না। এটাই আমাদের পুজোর বিশেষত্ব। প্রতি বছর কেউ না কেউ মানত করে। সেই মনস্কামনা পূর্ণ হলে তাঁর পছন্দের গয়না মাকে দেন।"
তিনি আরও বলেন, "সঙ্গে মাকে বিভিন্ন পুজোর বাসন সামগ্রীও দেন। বর্তমানে 10 ভরি বেশি সোনা রয়েছে মায়ের গায়ে। রুপোর গয়না 8-10 কেজি। তার মধ্যে মুকুট, গলার হার, কানপাসা, পায়ের তোড়া তা রুপোর উপরে সোনার জল ধরানো। পদ্ম ও বেলপতার মালা রুপো দিয়ে তৈরি।
আর কী কী রয়েছে মায়ের গয়নায় ? কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসা করতে তিনি বলেন, "মানতাসা, সোনার টায়রা-টিকলি, গলার চিক, নেকলেসও রয়েছে। শুধু মা দুর্গার নয় লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক, সরস্বতী সকলের গয়না রয়েছে। আমাদের তিন ঘটে পুজো হয়।"
সুমিতবাবুর আরও সংযোজন, "একটি দুর্গা, একটি গণেশ, আরেকটি চণ্ডী। সামনেই হয় ষষ্ঠীতলা। নির্দিষ্ট কোনও নিয়ম নেই উমা মাকে ভোগ নিবেদন করা হয় ৷ মায়ের জন্য যে যেমন ভোগ করেন সেটাই নিবেদন করা হয়।"