জলপাইগুড়ি, 8 অক্টোবর: প্যান্ডেলে ঢুকলে হঠাৎ মনে হবে বুঝি প্রতিবেশী রাজ্য অসমে চলে এসেছেন ৷ অসমের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য, শিল্প ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়েছে জলপাইগুড়ির মহুরীপাড়া সার্বজনীন পুজো মণ্ডপে ৷ পুজো মণ্ডপের এবারের থিম অসম ৷
জলপাইগুড়ির মহুরীপাড়া সার্বজনীন পুজোয় মা দুর্গা স্বয়ং যেন অসম থেকে এসেছেন ৷ তাঁর পরনে অসমিয়া মেখলা ৷ অসুর পরেছেন ধুতি ৷ তাঁর কাছে অসমের চাদর ৷ দুই মেয়ে দেবী সরস্বতী ও দেবী লক্ষ্মীও মেখলায় সজ্জিত ৷ তাঁদের হাতে ধরা উত্তর-পূর্বের রাজ্যটির বিখ্যাত জাপি ৷ কার্তিক ও গণেশ ঠাকুরও অসমের ধুতি এবং চাদর গায়ে দিয়েছেন ৷
এবার মহুরীপাড়া সার্বজনীনের 75তম বর্ষ ৷ পুজো মণ্ডপে এক চিলতে অসমকে তুলে ধরা নিয়ে পুজো কমিটির সম্পাদক উত্তম বোস বলেন, "আমাদের থিমের নাম জাপি ৷ এই জাপির প্রাধান্যই মণ্ডপে স্থান পেয়েছে ৷ অসমের বিহু, সংস্কৃতিকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি ৷ পুজো মণ্ডপে অসম ও বাংলার মেল বন্ধনের একটা চেষ্টা করেছি ।"
মণ্ডপ সজ্জার জন্য অসমের শিল্পীদের আনা হয়েছিল ৷ তাঁরাই মহুরীপাড়ার সার্বজনীন পুজোমণ্ডপ সাজিয়ে তুলেছেন ৷ সম্পাদক বলেন, "22 দিন ধরে 9 জন শিল্পী কাজ করেছেন ৷ অসমের বিখ্যাত শিল্পী রবীন বাড়কে এখানে নিয়ে এসেছিলাম ৷"
মণ্ডপে ঢোকার মুখেই অসমিয়া শিল্পী ভূপেন হাজারিকাকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে ৷ আর রয়েছে অসমের জাপি ৷ মণ্ডপের ভিতরে দেখতে পাওয়া যাবে বিহু নাচ, অসমের নবান্ন, এক শৃঙ্গ গণ্ডার-সহ অসমের শিল্প-সংস্কৃতির নানা ছবি ৷ রয়েছে অসমের চা-বাগান, ঢোল, কামাখ্যা মন্দিরের ছবি ৷
দর্শনার্থী মিত্রা ভৌমিক জানালেন তাঁর এই মণ্ডপে ঢুকে খুব ভালো লেগেছে ৷ প্রতিমার মধ্যে একটা স্নিগ্ধ ভাব রয়েছে ৷ আরেক দর্শনার্থী তীর্থঙ্কর চক্রবর্তী বললেন, "ভীষণ ভালো লাগছে ৷ মণ্ডপে ঢুকে মনে হচ্ছে আমরা অসমে রয়েছি ৷ অসমকে সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে ৷ জলপাইগুড়িতে এক টুকরো অসম রয়েছে ৷"