কলকাতা, 13 অক্টোবর: সারা বছর ধরে দুর্গাপুজার অপেক্ষায় থাকেন সবাই। সেই অপেক্ষা শেষ হল আজ। ষষ্ঠী থেকে দশমী পেরিয়ে একাদশীর রাত এসে উপস্থিত। মন খারাপের পালা। ছুটি কাটিয়ে ব্যস্ত জীবনে ফেরার পালা।
সকাল থেকে দিকে দিকে চলেছে প্রতিমা নিরঞ্জন ৷ আবারও অপেক্ষা 365 দিনের ৷ জেলা তথা রবিবার কলকাতার বিভিন্ন ঘাটে চলেছে বিসর্জন। মায়ের প্রতিমা নিরঞ্জনের বিষাদ ছাপিয়ে গেল আরজি করের ঘটনায় ৷
বিষাদের কথা ফুটে উঠল পুজো কর্মকর্তাদের মুখে। এবার কমজলেই মায়ের মূর্তি ভাসাতে হয়েছে । শুধু তাই নয়, ভাসানো মাত্রই প্রতিমার কাঠামো তুলে নেওয়া হয়েছে। তেমনি পরিবেশে রক্ষায় উদ্যোগ নেওয়ায় কর্পোরেশনকে সাধুবাদও জানালেন তাঁরা। এর পাশাপাশি পুজো কর্তারা জানালেন, এবছর তাঁরা অন্য বছরের থেকে দেরিতে উৎসবমুখর হয়েছেন কারণ সময়টা ছিল অন্যরকম ৷ চারিদিকে ছিল প্রতিবাদের আবহও। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁরাও ৷ গঙ্গাবক্ষে আজ জড়ো হন হাজারো ভক্ত। শহরের বিভিন্ন মন্দির ও পাড়া থেকে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হয় ঘাটে ঘাটে ৷

মাকে নিরঞ্জন দেওয়ার সময় গঙ্গাঘাটে ধ্বনিত হল, 'জয় মা দুর্গা', 'আসছে বছর আবার হবে' ৷ দেবী দুর্গার কাছে পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা প্রার্থনা জানিয়েছেন, আগামী বছর যাতে এমন কোনও ঘটনা যাতে না-ঘটে যার জন্য ফিরে আসবে বিষাদের সুর। মায়ের আগমনী যেন আরও উৎসবমুখর আবহে হয়। উল্লেখ্য, এবছর দেবী দুর্গার আগমন হয় দোলায়, যার ফল মড়ক এবং গমন ঘোটকে, যার ফল ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়া । গতবছর মা দুর্গার আগমন ও গমন দুটোই হয়েছিল ঘটকে। কথিত রয়েছে, কোনও বছর যদি মা দুর্গার আগমন ও গমন একই বাহনে হয় তাহলে তা অশুভ ৷