লন্ডন, 2 জুলাই: পরে অনুশোচনা হয়, এমন কোনও কাজ করা উচিত নয় ৷ ব্রিটেনের ভোটারদের জন্য এই বার্তা দিয়েছেন সেখানকার প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক ৷ আগামী বৃহস্পতিবার সেখানে ভোট ৷ তার আগে মঙ্গলবার পূর্ব ইংল্যান্ডের একটি ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টারে প্রচার শুরুর সময় তিনি এই কথা বলেন ৷
তাঁর এই বক্তব্যের নেপথ্য়ে ভোট সংক্রান্ত পূর্বাভাস বলেই মনে করা হচ্ছে ৷ কারণ, ভোট সংক্রান্ত সমস্ত পূর্বাভাস ব্রিটেনের ভোটে এগিয়ে রেখেছে বিরোধী লেবার পার্টিকে ৷ ভোটের ফলে কেইর স্টারমারের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি ঋষি সুনকের কনজারভেটিভদের কোণঠাসা করে দিতে পারে, পূর্বাভাস তেমনই ৷ এই পরিস্থিতিতে আগামী দু’দিন দুই দলের নেতাই ব্রিটেনের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে প্রচারে অংশ নেবেন ৷
এ দিন সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে ঋষি সুনক বলেছেন, "বৃহস্পতিবার একবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে, আর তা ফিরিয়ে নিতে পারবেন না ৷ এমন কিছু করবেন না যাতে আপনাকে অনুতপ্ত হতে হয় । আপনাদের কাছে 48 ঘণ্টা সময় আছে লেবার সুপার মেজরিটিকে থামাতে, যারা আপনাদের কর বৃদ্ধি করবে ৷"
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারেও একই কথা বলেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ৷ সেখানে তাঁর আরও দাবি, অভিবাসন নিয়েও সমস্যায় পড়বে ব্রিটেন-সহ পুরো ইউরোপ ৷ ব্রিটেনের ভোটারদের প্রতি ঋষি সুনকের আশ্বাস, কনজারভেটিভ পার্টি আবার ক্ষমতায় ব্রিটেনবাসীর কর কমবে ৷ পেনশন রক্ষা পাবে এবং দেশের সীমানা সুরক্ষিত হবে ৷
অন্যদিকে সুনকের প্রতিপক্ষ স্টারমার ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেছেন যে প্রতিটি ভোটেরই গুরুত্ব আছে ৷ তাঁর দাবি, লেবার পার্টির সরকার তৈরি হলে অনেক কঠিন সময় আসবে ৷ কারণ, ব্রিটেনের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ ৷ সব প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে ৷ এখান থেকে সব ঠিক করতে গেলে লেবার পার্টির শক্তিশালী জনসমর্থন প্রয়োজন ৷ তাহলেই অনেক পরিবর্তন সম্ভব হবে ৷ তাঁদের তরফে একাধিক বদলের কথা বলা হলেও করবৃদ্ধির সম্ভাবনা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে ৷
ব্রিটেনের পার্লামেন্টে 650 আসন ৷ সরকার গড়তে হলে 326 জন সাংসদ থাকা প্রয়োজন ৷ বৃহস্পতিবার সকাল 7টায় ভোট শুরু হবে ৷ শেষ হবে রাত 10টায়৷ পূর্বাভাস অনুযায়ী বিপুল আসন জিতে ক্ষমতায় আসতে পারে লেবার পার্টি ৷ সেটা সত্যি 14 বছর তারা ব্রিটেনের ক্ষমতায় ফিরবে ৷ এই সময়ের মধ্যে সেখানে পাঁচজন প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছেন ৷
ব্রিটেনে ভোটের লড়াই মূলত লেবার পার্টি ও কনজারভেটিভদের মধ্য়ে হলেও আরও বেশি কয়েকটি দল রয়েছে ৷ সেগুলি হল - লিবারেল ডেমোক্র্যাট, রিফর্ম ইউকে ও স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি ও দ্য গ্রিনস ৷ যদিও এই দলগুলি পূর্ববর্তী নির্বাচনে সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি ৷