ওয়াশিংটন, 7 নভেম্বর: ভোটের ফল প্রকাশের পর অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন কমলা হ্যারিস ৷ সমর্থকদের নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেওয়ার আবেদন জানান ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ৷ একই সঙ্গে, রিপাবলিকান নেতার কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি ৷ হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গেও কথা বলেছেন ৷ তাঁকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন ৷
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয়ের পর প্রথমবার মুখ খুললেন ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী হ্যারিস । বুধবার ওয়াশিংটন ডিসি-র হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে দাঁড়িয়ে পরাজয় স্বীকার করে নেন তিনি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও হেরে গিয়েছেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ৷ এরপরই অবশ্য তাঁর জবাবি ভাষণের অনুষ্ঠান বাতিল করেন ৷ পরে হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটিতে আবেগপূর্ণ বক্তব্য রাখেন 60 বছর বয়সি হ্যারিস ৷ তিনি বলেন, "আমেরিকার প্রতিশ্রুতির আলো সর্বদা উজ্জ্বল হবে ৷" একই সঙ্গে লড়াই চলবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, "আমার হৃদয় আজ পরিপূর্ণ ৷ আপনারা যে আমার উপর আস্থা রেখেছিলেন, তার জন্য কৃতজ্ঞ ৷ দেশের প্রতি ভালবাসা এবং সংকল্প রক্ষায় আমি খুশি ৷" একই সঙ্গে তিনি বলেন, “এই নির্বাচনের ফলাফল, আমরা যা চেয়েছিলাম তা হয়নি ৷ আমরা কীসের জন্য লড়াই করেছি, আমরা কেন ভোট দিয়েছি, এই ফলাফলে তা প্রতিফলিত হয়নি । কিন্তু আমার কথা শুনুন, আমি বলছি, আমেরিকার প্রতিশ্রুতির আলো সর্বদায় উজ্জ্বল হবে ৷”
তিনি আরও বলেন, “আমি জানি, এই মুহূর্তে অনেকেই ভিন্ন আবেগ অনুভব করছেন ৷ তবে আমাদের অবশ্যই এই নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে হবে ৷” হ্যারিসের কথায়, গণতন্ত্রের একটি মূলনীতি হল নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেওয়া ।
পরাজয় মেনে নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেন হ্যারিস ৷ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমি ট্রাম্পকে বলেছি, আমরা তাঁকে ও তাঁর দলকে সাহায্য করব ৷ আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর করব ৷ আমাদের দেশ প্রেসিডেন্ট বা দলের প্রতি নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখে ৷" হ্যারিস এদিন তাঁর সমর্থকদের দেশের মূল নীতিগুলি রক্ষা করার জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ।