ETV Bharat / international

ব্রিটেনের ভোটে মরিয়া লড়াই সুনকের, এখনও দ্বিধায় ভোটাররা - UK elections 2024 - UK ELECTIONS 2024

UK elections 2024: ব্রিটেনে ভোট আগামিকাল বৃহস্পতিবার ৷ তার আগে প্রচারে ব্যস্ত ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী তথা কনজারভেটিভদের নেতা ঋষি সুনক ৷ তিনি যেমন ক্ষমতায় থাকতে মরিয়া, তেমনই ব্রিটেনের ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া লেবার পার্টিও ৷ কাকে ভোট দিলে ব্রিটেনের উন্নতি হবে, তা নিয়ে এখনও দ্বিধায় ভোটাররা ৷ তাই শেষ পর্যন্ত কোন দল ব্রিটেনের ক্ষমতায় আসে, সেটাই এখন দেখার ৷

Rishi Sunak
ঋষি সুনক (ফাইল চিত্র)
author img

By PTI

Published : Jul 3, 2024, 3:17 PM IST

Updated : Jul 3, 2024, 4:51 PM IST

লন্ডন, 3 জুলাই: আগামিকাল, বৃহস্পতিবার ব্রিটেনে ভোট ৷ গত কয়েক সপ্তাহে সেই ভোটের প্রচারে কয়েক হাজার মাইল পার করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক ৷ তার পরও তিনি ভোটের প্রচারের শেষ মুহূর্তে স্বস্তিতে নেই ৷ গত 20 মাস তিনি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন ৷ কিন্তু তিনি থাকবেন কি না, সেই নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে ৷ 2005 সালের পর থেকে সুনক-সহ পাঁচজন কনজারভেটিভ নেতা ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছেন ৷ সেই ধারায় পূর্ণচ্ছেদ বসিয়ে ব্রিটেনের বাসিন্দারা কি আবার লেবার পার্টির উপর ভরসা রাখবেন ? পূর্বাভাস অন্তত সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে ৷

তাই গত কয়েক সপ্তাহে প্রচারে কোনও ত্রুটি রাখেননি সুনক ৷ খাদ্যবণ্টন গুদাম, সুপারমার্কেট-সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করেছেন ৷ তিনি ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার আগে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চান না ৷ তাছাড়া 2022 সালের অক্টোবরে যখন প্রধানমন্ত্রীর পদে সুনক বসেন, তখন যা অবস্থা ছিল, তার থেকে এখন তাঁদের অবস্থা অনেকটাই ভালো ৷ তাই ভোটাররা যাতে লেবার পার্টিকে ভোট না দেন, সেই বিষয়ে ইতিমধ্যে আবেদন জানিয়েছেন সুনক ৷

অন্যদিকে লেবার পার্টির তরফেও নিজেদের সমর্থকদের আত্মতুষ্টিতে না থাকার জন্য সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে ৷ কারণ, বিভিন্ন পূর্বাভাসে লেবার পার্টিরই ক্ষমতায় আসার কথা বলা হয়েছে ৷ সেই পূর্বাভাসকে সত্যি করতে গত ছ’সপ্তাহ ধরে প্রচার করছেন লেবার পার্টির নেতা কাইর স্টারমার ৷ তবে অর্থনীতির হাল ফেরানো, পরিকাঠামোয় বিনিয়োগ-সহ একাধিক বিষয়ে এখনও সুস্পষ্ট কোনও রূপরেখা দিতে পারেনি স্টারমাররা ৷ তার পরও ব্যবসায়িক মহল-সহ অনেকের সমর্থন তাদের দিকেই রয়েছে ৷ তার কারণ হিসেবে উঠে আসছে যে ব্রিটেনবাসী নতুন ভাবনা চাইছে, যা একমাত্র লেবার পার্টির কাছেই আছে ৷

অন্যদিকে কনজারভেটিভরা গ্যাফে জর্জরিত ৷ তাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে জুয়া নিয়ন্ত্রকের তরফে তদন্ত চলছে ৷ তাঁরা আবার সুনক ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ৷ তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভোট ঘোষণার আগে ভিতরের খবর তারা বাইরে দিয়ে দিচ্ছিলেন ৷ ফলে ঘর সামলাতেই হিমশিম খাচ্ছেন সুনক ৷ তার উপর তাঁর দুই পূর্বসূরি বরিস জনসন ও লিজ ট্রাসের কিছু সিদ্ধান্ত এখনও তাঁকে বিড়ম্বনায় ফেলছে ৷

এই পরিস্থিতিতে রিফর্ম ইউকে পার্টি, সেন্টারিস্ট লিবারেল ডেমোক্র্যাট ও গ্রিন পার্টি বড় দলগুলির ক্ষুব্ধ ভোটারদের নিজেদের দিকে টানতে মরিয়া ৷ আগের নির্বাচনে তারা ভালো ফল না করলেও এবার বিক্ষুব্ধদের কাছে টেনে ভালো ফল করার আশায় ওই দলগুলি ৷

অন্যদিকে ব্রিটেনের ভোটাররাই চাইছেন পরিবর্তন ৷ কিন্তু তা আসবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই ৷ কারণ, সাউদাম্পটনের বন্দর কর্মী মাইকেল বার্ডের মতো অনেকেই এখনও দ্বিধায় রয়েছেন ৷ লেবার পার্টি নাকি কনজারভেটিভ, কাকে ভোট দিলে যে ভালো হবে, তা এখনও অনেকেই ঠিক করে উঠতে পারেননি ৷ আর এখানেই লুকিয়ে রয়েছে ব্রিটেনের ভোটের অঙ্ক ৷ তাই চিন্তায় সুনক ও স্টারমার দু’জনেই ৷

লন্ডন, 3 জুলাই: আগামিকাল, বৃহস্পতিবার ব্রিটেনে ভোট ৷ গত কয়েক সপ্তাহে সেই ভোটের প্রচারে কয়েক হাজার মাইল পার করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক ৷ তার পরও তিনি ভোটের প্রচারের শেষ মুহূর্তে স্বস্তিতে নেই ৷ গত 20 মাস তিনি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন ৷ কিন্তু তিনি থাকবেন কি না, সেই নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে ৷ 2005 সালের পর থেকে সুনক-সহ পাঁচজন কনজারভেটিভ নেতা ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছেন ৷ সেই ধারায় পূর্ণচ্ছেদ বসিয়ে ব্রিটেনের বাসিন্দারা কি আবার লেবার পার্টির উপর ভরসা রাখবেন ? পূর্বাভাস অন্তত সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে ৷

তাই গত কয়েক সপ্তাহে প্রচারে কোনও ত্রুটি রাখেননি সুনক ৷ খাদ্যবণ্টন গুদাম, সুপারমার্কেট-সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করেছেন ৷ তিনি ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার আগে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চান না ৷ তাছাড়া 2022 সালের অক্টোবরে যখন প্রধানমন্ত্রীর পদে সুনক বসেন, তখন যা অবস্থা ছিল, তার থেকে এখন তাঁদের অবস্থা অনেকটাই ভালো ৷ তাই ভোটাররা যাতে লেবার পার্টিকে ভোট না দেন, সেই বিষয়ে ইতিমধ্যে আবেদন জানিয়েছেন সুনক ৷

অন্যদিকে লেবার পার্টির তরফেও নিজেদের সমর্থকদের আত্মতুষ্টিতে না থাকার জন্য সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে ৷ কারণ, বিভিন্ন পূর্বাভাসে লেবার পার্টিরই ক্ষমতায় আসার কথা বলা হয়েছে ৷ সেই পূর্বাভাসকে সত্যি করতে গত ছ’সপ্তাহ ধরে প্রচার করছেন লেবার পার্টির নেতা কাইর স্টারমার ৷ তবে অর্থনীতির হাল ফেরানো, পরিকাঠামোয় বিনিয়োগ-সহ একাধিক বিষয়ে এখনও সুস্পষ্ট কোনও রূপরেখা দিতে পারেনি স্টারমাররা ৷ তার পরও ব্যবসায়িক মহল-সহ অনেকের সমর্থন তাদের দিকেই রয়েছে ৷ তার কারণ হিসেবে উঠে আসছে যে ব্রিটেনবাসী নতুন ভাবনা চাইছে, যা একমাত্র লেবার পার্টির কাছেই আছে ৷

অন্যদিকে কনজারভেটিভরা গ্যাফে জর্জরিত ৷ তাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে জুয়া নিয়ন্ত্রকের তরফে তদন্ত চলছে ৷ তাঁরা আবার সুনক ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ৷ তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভোট ঘোষণার আগে ভিতরের খবর তারা বাইরে দিয়ে দিচ্ছিলেন ৷ ফলে ঘর সামলাতেই হিমশিম খাচ্ছেন সুনক ৷ তার উপর তাঁর দুই পূর্বসূরি বরিস জনসন ও লিজ ট্রাসের কিছু সিদ্ধান্ত এখনও তাঁকে বিড়ম্বনায় ফেলছে ৷

এই পরিস্থিতিতে রিফর্ম ইউকে পার্টি, সেন্টারিস্ট লিবারেল ডেমোক্র্যাট ও গ্রিন পার্টি বড় দলগুলির ক্ষুব্ধ ভোটারদের নিজেদের দিকে টানতে মরিয়া ৷ আগের নির্বাচনে তারা ভালো ফল না করলেও এবার বিক্ষুব্ধদের কাছে টেনে ভালো ফল করার আশায় ওই দলগুলি ৷

অন্যদিকে ব্রিটেনের ভোটাররাই চাইছেন পরিবর্তন ৷ কিন্তু তা আসবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই ৷ কারণ, সাউদাম্পটনের বন্দর কর্মী মাইকেল বার্ডের মতো অনেকেই এখনও দ্বিধায় রয়েছেন ৷ লেবার পার্টি নাকি কনজারভেটিভ, কাকে ভোট দিলে যে ভালো হবে, তা এখনও অনেকেই ঠিক করে উঠতে পারেননি ৷ আর এখানেই লুকিয়ে রয়েছে ব্রিটেনের ভোটের অঙ্ক ৷ তাই চিন্তায় সুনক ও স্টারমার দু’জনেই ৷

Last Updated : Jul 3, 2024, 4:51 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.