মাল, 10 মে: দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে মলদ্বীপ থেকে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার করে নিল ভারত ৷ দু'দেশের কূটনৈতিক চাপানউতরের আবহে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা বেধে দিয়েছিলেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু ৷ সেনা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল 10 মে ৷ কথা মতো সময়ের মধ্যেই সেনা সরিয়ে নিল ভারত ৷
শুক্রবার স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমকে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট দফতরের মুখপাত্র হীনা ওয়ালিদ জানান, সেদেশ থেকে ভারতীয় সেনার শেষ ব্যাচ সরিয়ে নিয়েছে ভারত ৷ তবে কতজন সেনা সেখানে মোতায়েন ছিল, সেই সম্পর্কে পরে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি ৷ উল্লেখ্য, নিরাপত্তার স্বার্থে মলদ্বীপকে দুটি হেলিকপ্টার এবং একটি ডর্নিয়ার উপহার দিয়েছিল ভারত ৷ সেই সামরিক ক্ষমতা পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মলদ্বীপে 90 সেনা মোতায়েন করে ভারত ৷ বেশ কিছুদিন ধরে একটু একটু করে সেনা সরাতে শুরু করে ভারত ৷ এবার সম্পূর্ণ সেনা সরিয়ে নিল নয়াদিল্লি ৷
গতবছর নির্বাচনী প্রচারে চিনপন্থী নেতা হিসেবে পরিচিত মুইজ্জুর প্রধান দাবি ছিল মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা সরানো ৷ 2023 সালের নভেম্বরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর আরও জোর হাওয়া লাগে সেই পালে ৷ চলতি বছরের জানুয়ারিতে তিন উপমন্ত্রীর ভারত বিরোধী মন্তব্যের জেড়ে তিক্ত হয়ে ওঠে দু'দেশের সম্পর্ক ৷ তারপর সেনা প্রত্যাহারের জন্য নয়াদিল্লিকে সময়সীমা বেধে দেন প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু ৷ বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর মলদ্বীপের সিদ্ধান্তে রাজি হয় ভারত ৷
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, সেনার প্রথম এবং দ্বিতীয় ব্যাচকে ইতিমধ্যেই দেশে ফেরানো হয়েছে ৷ বর্তমানে শুধুমাত্র তিনটি ভারতীয় বিমান পরিচালনার জন্য কয়েকজন দক্ষ ভারতীয় প্রযুক্তিগত কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে ।
দু'দেশের কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে বৃহস্পতিবার ভারত সফরে আসেন মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী মুসা জামির ৷ দু'দেশের পরিবর্তিত কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা প্রসঙ্গে গভীর আলোচনা হয় ৷ বৈঠকের পর দু'দেশের সম্পর্ক প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর জানান, 'পারস্পরিক স্বার্থ' এবং 'পারস্পরিক সংবেদনশীলতার' উপর দুই দেশের উন্নয়ন নির্ভর করছে ৷
আরও পড়ুন: