কলকাতা: বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রতিদিন পরিমিত জল পান না-করলে কিডনিতে পাথর ও অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রতিদিন পরিমিত জল পান করার পাশাপাশি এই খাবারগুলি এড়িয়ে চলুন বা অল্প পরিমাণে গ্রহণ করুন। অতিরিক্ত এই খাবার খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।
অক্সালেটসমৃদ্ধ খাবার: কিডনিতে পাথর এড়াতে বিশেষজ্ঞরা জানান, অক্সালেট বেশি খাবার যতটা সম্ভব কম খাওয়া উচিত। বিট, আলু, বাদাম, লেটুস এবং চকলেটের মতো মূল শাকসবজি খুব বেশি না-খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় ।
2017 সালে 'জার্নাল অফ দ্য আমেরিকান সোসাইটি অফ নেফ্রোলজি' (Journal of the American Society of Nephrology)-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে, অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি 23% বেড়ে যায়। এই গবেষণায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের 'ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া' থেকে বিখ্যাত নেফ্রোলজিস্ট ডাঃ ইয়াং অংশ নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, "প্রচুর পরিমাণে অক্সালেট সমৃদ্ধ লেটুসের মতো সবজি খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।"
নুন: সাধারণভাবে অতিরিক্ত নুন খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এটি রক্তস্বল্পতা এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা সৃষ্টি করে। এছাড়া বিশেষজ্ঞরা জানান, আপনার খাদ্যতালিকায় অতিরিক্ত নুন গ্রহণ করলে কিডনিতে পাথর তৈরি হতে পারে। তাই যতটা সম্ভব নুন খাওয়া কমানোই ভালো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন 5 গ্রামের বেশি নুন খাওয়া উচিত নয়।
প্রোটিন: বেশি পরিমাণে প্রোটিনযুক্ত আমিষ জাতীয় খাবার বেশি খেলে কিডনিতে পাথর তৈরি হতে পারে ৷ বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রাণীজ প্রোটিন কম পরিমাণে গ্রহণ করা ভালো, যা কিডনির সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
ভিটামিন সি খাবার: ভিটামিন সি আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা জানান, শরীরে ভিটামিন সি-এর মাত্রা বেড়ে গেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই ভিটামিন সি জাতীয় খাবার এবং ফল খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন সি গ্রহণ করা প্রয়োজন ৷
প্রক্রিয়াজাত খাবার: কিডনি সুস্থ রাখতে বিশেষজ্ঞরা জানান, যতটা সম্ভব প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। বিশেষ করে ফাস্ট ফুডের পাশাপাশি ভাজা জাতীয় খাবার কমাতে হবে। কারণ এসব খাবারও কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।