হায়দরাবাদ: কেটো ডায়েট এখন প্রায়ই অনেকে অনুসরণ করে থাকেন ৷ বিশেষ করে, যারা দ্রুত ওজন কমাতে চান তারা দীর্ঘ সময় ধরে কেটো ডায়েটে থাকুন । এটি একটি বিশেষ ধরনের খাদ্য, যাতে কার্বোহাইড্রেট কমানো হয় এবং চর্বি বাড়ানো হয় । সাধারণত মানুষ কেটো ডায়েটে মটন, পনির, ডিম, মুরগির মাংস, বাদাম বা সামুদ্রিক খাবার ইত্যাদি গ্রহণ করে থাকেন ।
কেটো ডায়েটের রয়েছে অনেক উপকারিতা ৷ ওজন কমানো ছাড়াও এটি ক্যানসার বা আলঝেইমারের মতো রোগের জন্যও ভালো বলে মনে করা হয় । কিন্তু এই ডায়েটেরও অনেক অসুবিধা রয়েছে । তবে কোনও জিনিসই বেশি বেশি ভালো নয় ৷ এই ডায়েটের অনেক অসুবিধাও আছে ৷
হরমোনের পরিবর্তন: দীর্ঘ সময় ধরে কেটো ডায়েট মেনে চললে শরীরে কিছু হরমোনের পরিবর্তন হতে পারে । আসলে কেটো ডায়েট ইনসুলিন এবং কর্টিসলকে প্রভাবিত করে । অনেক সময় মহিলারা এই ডায়েটের কারণে তাদের পিরিয়ড সাইকেলে পরিবর্তন লক্ষ্য করেন । দীর্ঘদিন ধরে হরমোনের ভারসাম্য না থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন ৷
হজমের উপর প্রভাব: কেটো ডায়েট পরিপাকতন্ত্রের উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে । ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যেমন কুইনো, মটরশুটি, মুসুর ডাল, ফল, ব্রাউন রাইস ইত্যাদি এই ডায়েটের অন্তর্ভুক্ত নয় । এই ধরনের খাবারে কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যায় । কিন্তু শরীর যখন পর্যাপ্ত ফাইবার পায় না, তখন তা কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অন্যান্য হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে ।
পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে পারে: যদি একজন ব্যক্তি দীর্ঘ সময় ধরে কেটো ডায়েট অনুসরণ করেন, তবে এটি তার শরীরে পুষ্টির ঘাটতি ঘটায় । এটি ঘটে কারণ কেটো ডায়েটে কিছু খাদ্য আইটেম বাদ দেওয়া হয় বা খুব কম গ্রহণ করা হয় । যার কারণে শরীরে পুষ্টির ভারসাম্যহীনতার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায় । এছাড়াও প্রতিনিয়ত কেটো ডায়েটে চললে ঘুমেরও অসুবিধা হতে পারে ৷
আরও পড়ুন:
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)