ঠান্ডার মরশুম আসতে শুরু করেছে ৷ কখনও রোদ, কখনও বৃষ্টি ৷ এই সময়ের আবহাওয়ার প্রকৃতি বোঝা একটু কঠিন । এমন পরিস্থিতিতে অনেক শিশুই মরশুমি ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে পড়ে ।
ডায়েটিশিয়ান বলেন, "যদি আপনার শিশুরাও সর্দি, কাশি বা জ্বরে ভুগে থাকে, তাহলে দেরি না করে কিছু বিশেষ জিনিস (বাচ্চাদের জন্য ইমিউনিটি-বুস্টিং ফুডস) অন্তর্ভুক্ত করুন । এই পুষ্টিকর খাবারগুলি শুধুমাত্র তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই শক্তিশালী করবে না, অনেক ধরনের সংক্রমণ থেকে তাদের রক্ষা করতেও সাহায্য করবে ৷"
কাঁচা আমলকি: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এই ফল ৷ আমলকিতে উপস্থিত ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে আমাদের রক্ষা করে । আমললকি হজমকারী এনজাইম উৎপাদনে উৎসাহিত করে ৷ যা খাবারের হজমশক্তি উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য় করে ।
মরশমি শাকসবজি: যে কোনও সময়ে সিজেনাল শাকসবজি খাওয়া উপকারী ৷ এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা পালণ করে ৷
কাঁচা রসুন: রসুনে রয়েছে অ্যালিসিন নামক যৌগ ৷ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে । এই যৌগটি ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে, যারফলে সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস পায় ।
কাঁচা হলুদ: অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল হিসাবে কাজ করে । যারফলে শরীরের ইঅমিউটি সিস্টেমকে শক্তিশালী করে ৷
আদা: পরিবর্তনশীল আবহাওয়ায় সর্দি, কাশি ও জ্বরের সমস্যা দেখা যায় । এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি । জয়শ্রীর মতে, আদা হলুদের চা হতে পারে কার্যকরী উপায় ৷
কমলালেবু: কমলালেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ৷ এইসময়ে এটি ভালো পাওয়া যায় ৷ শিশু বা বড় যে কেও এটি খেতে পারে ৷
সজনে পাতা: অ্যান্টি ব্যাকটিয়া হিসাবে ভালো কাজ করে ৷ এটি শরীরের ইমিউনিটি ভালো করতে সাহায্য় করে ৷ এটি সবজি হিসাবে বা মরিঙ্গা টি খাওয়া যেতে পারে ৷
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)