কলকাতা: আজকাল আমাদের খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাত্রা এবং শারীরিক পরিশ্রমের অভাবে অনেকেই গ্যাসের জন্য পেট ব্যথায় ভুগে থাকেন । শিশুরাও গ্যাসের সমস্যায় ভুগে থাকেন । কিন্তু পেটে এমন হওয়ার কারণ কী ? কীভাবে প্রাকৃতিকভাবে এই সমস্যা কমানো যায় ?
খাদ্য হজমের প্রক্রিয়ায় প্রচুর গ্যাস উৎপন্ন হয় । বের না হলে পেট ফুলে যায় । খাবার খাওয়ার সময় কিছু বাতাস ভিতরেও যায় । বৃহৎ অন্ত্র দ্বারা খাদ্য হজমের সময় পেটে গ্যাসও তৈরি হয় । অনেক সময় পেটে অত্যধিক গ্যাস তৈরি হলে পেটে ব্যথা হয় ৷ পেট ফেঁপে যায় ফলে অন্ত্রে ব্যথা অনুভূত হয় ৷
গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ডাঃ টি. লক্ষ্মীকান্ত বলেন, "পেট ফাঁপা হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে । প্রধানত সময়মতো খাবার না খাওয়া, কার্বনেটেড পানীয় পান করা, স্ট্র দিয়ে অত্যধিক পানীয় পান করার কারণে এই সমস্যা দেখা দেয় । কিছু ধরনের খাবারও পেট ফাঁপার মতো সমস্যা তৈরি করে । দুধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্যের মতো জিনিসও এটিও পেটে গ্যাস তৈরি করে ।"
পেট ফোলা সমস্যা কমানোর উপায়:
- গ্যাসের সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের খাবার দ্রুত না খেয়ে ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাওয়া উচিত ।
- আপনার খাদ্যাভাসেও পরিবর্তন আনা প্রয়োজন । কাঁচা খাবার খাওয়া উচিত নয় ।
- পুদিনা চা পান করলে ভালো ফল পাওয়া যায় ।
- খাওয়ার সময় বেশি কথা বলা উচিত নয় ।
- বেশি করে জল পান করা উচিত ।
- ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে, এতে হজমশক্তি ভালো হয় ।
- ঠান্ডা পানীয় (গ্যাস মিশ্রিত পানীয়) এবং কার্বনেটেড পানীয়ের ব্যবহার কমাতে হবে ।
- স্ট্রর মাধ্যমে পানীয় গ্রহণ করবেন না ।
- কিছু মানুষের ব্রকলি এবং ফুলকপি ঠিকমতো হজম হয় না ৷ সেগুলি থেকে দূরে থাকা উচিত ।
- চুইংগাম এবং কিছু মিষ্টিতে কৃত্রিম চিনি থাকে । এগুলি গ্যাসের সৃষ্টি করে ।
- রাতে ঠিকমতো ঘুম না হওয়ার কারণেও পেট ফাঁপা হতে পারে । তাই রাতে পর্যাপ্ত ঘুমানো উচিত ।
চিকিৎসক পরামর্শ দেন, মানসিক চাপের কারণও অনেকসময় গ্যাসের কারণ হতে পারে ৷ এছাড়াও এন আই এইচ দ্বারা গবেষণায় কীভাবে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তা বর্ননা করা হয়েছে ৷
https://www.niddk.nih.gov/health-information/digestive-diseases/gas-digestive-tract/treatment
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য পুষ্টিবিদ-বিশেষজ্ঞের ব্যক্তিগত মতামত ও প্রচলিত ধারণার উপর ভিত্তি করে লেখা ৷ শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)