কলকাতা, 20 অগস্ট: আরজি করের নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে সপ্তাহের শুরুতে কর্মমুখর দিনে শহরের বুকে ছিল একাধিক মিছিল ও সমাবেশ। তার মধ্যে একটি নব নালন্দা থেকে গোলপার্ক অবধি বাংলার সঙ্গীত শিল্পীদের পদযাত্রা। 'তমসো মা জ্যোতির্গময়' এই মন্ত্র নিয়ে নব নালন্দা থেকে গোলপার্ক অবধি হাঁটেন বাংলার খ্যাতনামা সঙ্গীত শিল্পীরা। সোমবারের এই প্রতিবাদ মিছিলে ছিলেন লোপামুদ্রা মিত্র, মনোময় ভট্টাচার্য, সাহেব চট্টোপাধ্যায়, ইমন চক্রবর্তী, রূপম ইসলাম, দেবজ্যোতি মিশ্র, অঞ্জন দত্ত-সহ আরও অনেকে ৷
এদিন সঙ্গীত শিল্পী রূপম ইসলাম বলেন, "14 তারিখ রাতে মানুষ গণ আন্দোলন দেখেছেন ৷ ন্যায় চাইলেই পাওয়া যায় না ৷ তাই আমরাও প্রতিবাদে পথে নেমেছি ৷ এই প্রতিবাদে দেবজ্যোতিদা আমাদের সঙ্গী হয়েছেন ৷ আমাদের এই লড়াই আরও শক্তিশালী হল ৷" নির্যাতিতার প্রতি ন্যায়বিচার চেয়ে সঙ্গীত শিল্পী দেবজ্যোতি মিশ্র বলেন, "রূপম সবসময় মানুষের হয়ে গান করেন ৷ আজ তিনি প্রতিবাদে সামিল হয়েছি ৷ ওর সঙ্গে রয়েছি আমরাও ৷"
আসলে যুগ যুগ ধরে প্রতিবাদের ভাষা হয়ে উঠেছে সঙ্গীত। স্বাধীনতার আমল থেকে এখনও পর্যন্ত সেই ধারাবাহিকতায় ভাটা পড়েনি এতটুকু। এদিনের প্রতিবাদ মিছিলে শিল্পীদের কণ্ঠে শোনা গেল "পথে এবার নামো সাথী পথেই হবে পথ চেনা, জনস্রোতে নানান মতে মনরথের ঠিকানা..."।
এই প্রতিবাদ মিছিলে দেখা মিলেছে উপালি চট্টোপাধ্যায়,পটা, অনীক ধর, লগ্নজিতা চক্রবর্তী, অন্বেষা দত্তগুপ্ত, শুভমিতা চট্টোপাধ্যায়, শিলাজিৎ মজুমদার, কল্যাণ সেন বরাট, উজ্জয়িনী মুখোপাধ্যায়, কৌশিকী চক্রবর্তী দেশিকান, অনুপম রায়, প্রশ্মিতা পাল-সহ বহু বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পীর। সকলের একটাই দাবি- 'অপরাধীর শাস্তি চাই।'
একইসঙ্গে এই মুহূর্তে 'রাত্তিরের সাথী'র 9 নম্বর নিয়ম নিয়ে বেশ তোলপাড় নানা মহল ৷ মেয়েরা রাতে কেন কাজে বেরোতে পারবে না তার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন সঙ্গীত শিল্পীরাও। পাশাপাশি, এদিনের সন্ধ্যায় আকাদেমি চত্বরে প্রতিবাদ সভায় সামিল হয় সারা বাংলার ফোটোগ্রাফার ও ভিডিওগ্রাফারেরাও। আকাদেমি চত্বরে দাঁড়িয়েই বিক্ষোভ দেখান তাঁরা ।