কলকাতা, 23 নভেম্বর: মাতৃহারা হলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ৷ শনিবার দুপুর 3টে নাগাদ অমৃতলোকে গমন করলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর মা। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল 77 বছর। শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ডা. অনির্বাণ নিয়োগীর অধীনে ভর্তি ছিলেন তিনি।
গত প্রায় 15 দিন ভেন্টিলিশন সাপোর্টে ছিলেন তিনি। কিডনি-সহ নানান সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। রেখে গেলেন কন্যা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, জামাই সঞ্জয় চক্রবর্তী, নাতি এবং নাতনি অঙ্কন এবং ঋষণা, পুত্র প্রদীপ্ত সেনগুপ্ত, পুত্রবধূ রসেলি সেনগুপ্ত ও নাতনি শ্রেষ্ঠাদের। মাকে হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন নায়িকা। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর আপ্ত সহায়ক শর্মিষ্ঠা জানিয়েছেন, নায়িকার স্বামী সঞ্জয় চক্রবর্তী মেয়ে ঋষণাকে নিয়ে ইতিমধ্যেই সিঙ্গাপুর থেকে রওনা দিয়েছেন কলকাতার উদ্দেশ্যে। ছেলে অঙ্কন শিক্ষার সূত্রে বস্টনে।
প্রসঙ্গত, অক্টোবরের শেষ থেকেই বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন নন্দিতা দেবী। অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তাঁর মা। ডায়ালিসিস চলছিল। শরীরে ছিল আরও নানা ধরনের সমস্যা। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল তাঁকে। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে মায়ের ভূমিকা নিয়ে বারবার কথা বলেছেন ঋতুপর্ণা ৷ তিনি জানিয়েছেন, কীভাবে তাঁর মা তাঁকে আগলে রাখতেন ৷ মায়ের হাতের রান্না খেতে পছন্দ করতেন ৷ মায়ের মৃত্যুতে জীবনের সবচেয়ে বড় বন্ধু, সঙ্গী, ফিলোজফারকে হারালেন ঋতুপর্ণা ৷
গতকালই মুক্তি পেয়েছে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত অভিনীত 'আমার লবঙ্গলতা'। কাজের দৌলতে বেশ কয়েকবার শহরের বাইরে গেলেও কলকাতায় থাকলে মায়ের পাশেই থাকতেন অভিনেত্রী। মায়ের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল ছিলেন তিনি। আজ মাকে হারিয়ে স্তব্ধ টলিকুইন। আত্মীয়স্বজন এলে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে অভিনেত্রীর মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে জানা গিয়েছে।