কলকাতা, 5 সেপ্টেম্বর: সারেগামাপা'র সঙ্গে রাঘব চট্টোপাধ্যায়ের দীর্ঘকালের যোগ। এই মুহূর্তে বিচারকের আসনে রয়েছেন তিনি। রয়েছে দারুণ সব অভিজ্ঞতা। অথচ শিল্পীর দুই মেয়ে আনন্দী ও আহীরি রয়েছেন প্রতিযোগিতা মূলক গানের অনুষ্ঠান থেকে শত দূরে ৷ কারণটা কী? ইটিভি ভারতের কাছে খোলসা করলেন সঙ্গীত শিল্পী তথা বাবা রাঘব চট্টোপাধ্যায় ৷ পাশাপাশি শোনালেন সারেগামাপার সঙ্গে তাঁর আত্মিক যোগের কথাও ৷
সারেগামাপা এবং রাঘব চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে সম্পর্ক বহুদিনের। শিল্পীর দুই কন্যা আনন্দী এবং আহীরিও পড়াশুনার পাশাপাশি নিয়মিত সঙ্গীত চর্চা করেন। কিন্তু আজ অবধি রিয়েলিটি শোয়ের মঞ্চে গান গাইতে দেখা যায়নি তাঁদের। শিল্পী কি রাজি নন মেয়েদের রিয়েলিটির মঞ্চে নিয়ে যেতে? রাঘব বলেন, "পড়াশোনার পাশাপাশি দুজনেই গানবাজনাকে ভালোভাবে বেছে নিয়েছে ৷ প্রচন্ড ভালবাসা ও শ্রদ্ধা নিয়ে ওরা গান শেখে ৷ নিজেদের গান নিজেরাই ডেভেলপ করছে ৷ মিউজিক প্রোডাকশন করছে ৷ তবে রিয়েলিটি শোয়ে আসার জন্য ওরা নিজেরাই আগ্রহ দেখায় না ৷ সেটার কারণ আমি জানি না ৷"
তিনি আরও বলেন, "আমার দুই মেয়ে খুব বেশি লোকের সামনে আসতে চায় না ৷ ওরা ভালোবেসে গান নিয়ে থাকে ৷ তাছাড়া আমি আমার মেয়েদের কখনও জোর দিয়ে বলিনি এটা করতেই হবে বা ওটা করতেই হবে ৷ একটা কথা বলেছি, যা করবে শিখে করবে, রেওয়াজ করে করবে ৷ ক্যাজুয়ালি কোনও কিছু করতে বারণ করেছি ৷ যদি কোনও দিন মনে করে রিয়েলিটি শোয়ে আসবে, আসতেই পারে ৷"
সারেগামাপা'র সঙ্গে জার্নি প্রসঙ্গে সঙ্গীত শিল্পী বলেন, "আমি কৃতজ্ঞ যে সারেগামাপা আমাকে বিচারকের দায়িত্ব দেয়। আমার সাঙ্গীতিক জীবনের বিশেষ বিশেষ মুহূর্তের মধ্যে সারেগামাপাতে বিচারক থাকাটাও একটা। নিজেকে এখনও সঙ্গীতের ছাত্র মনে করি আমি। জুনিয়রদের ভালো মন্দ বলতে আসি। আমাকে তারা ভরসা করে এটাও আমার একটা বড় প্রাপ্তি।"
রিয়েলিটি শো-র বিজয়ীদের নাম ঘোষণার পরেই সামাজিক মাধ্যমে আদালত বসে। শুরু হয় ট্রোলিং। এই নিয়ে রাঘব বলেন, "বিচারকরা বিচারের কাজে পারদর্শী বলেই এই কাজটা তাঁরা করছেন। তবে হ্যাঁ, অনেকক্ষেত্রেই ফাইনালের দিন বাইরে থেকেও বিচারক আসেন। তাঁরা হয়ত গোটা সিজন প্রতিযোগীদের গানগুলো শোনেননি। ফলে আগে কে কেমন গেয়েছেন তা তাঁদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। আবার দর্শক গোটা সিজন ধরে সকলের গান শুনছেন। তাঁদের কাউকে ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ। সে ফাইনালে ফার্স্ট না হলেই সেই দর্শকের মন খারাপ হবে। মুখ ভার হবে। কিন্তু ট্রোলিংটা ঠিক নয়। বিচারকের বিচারের প্রতি আস্থা রাখতে হবে।"