হায়দরাবাদ, 12 ফেব্রুয়ারি: সিনে দুনিয়ায় চল্লিশ বছর পার করে ফেলা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এখন আক্ষরিক অর্থে প্রৌঢ়। তবুও প্রতিনিয়ত নিজেকে আরও ভালো করে তোলা বা আরও ভালো চরিত্র পাওয়ার আকাঙ্খা দুর্নমনীয়। শুধু অভিনয়ের খিদেতে নিজেকেই ভাঙছেন না। সকলের প্রিয় বুম্বাদা তৎপর বাংলা সিনেমাকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতেও।
গত দু'দিন হায়দরাবাদের প্রসাদ প্রিভিউ থিয়েটার যেন হয়ে উঠেছিল কলকাতার নন্দন ৷ এখানেই বসেছিল ষষ্ঠ তেলেঙ্গানা বেঙ্গলি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের আসর ৷ বাংলা সিনেমা উদযাপনে মেতে উঠেছেন কলকাতা থেকে 1500 কিলোমিটার দূরে থাকা প্রবাসী বাঙালিরা ৷ জানা গিয়েছে, বাংলা থেকে এত দূরে এই অনুষ্ঠানের অন্যতম হোতা প্রসেনজিৎ নিজেই। তার পরামর্শেই এই চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন শুরু করেছিল হায়দরাবাদ বাঙালি সমিতি।
বাংলা নয়, ভারতের সিনেমা...
বারবার জানালেন আমি বাংলা সিনেমা করি না। আমি করি ইন্ডিয়ান সিনেমা। আমরা প্রত্যেকেই তাই করি। শুধুমাত্র ভাষা এবং অঞ্চলের গণ্ডিতে বেঁধে রাখলে সিনেমা কখনোই এগোবে না। শুধু তাই নয়, ডিস্ট্রিবিউটার প্রডিউসারের সমস্যাকে দূরে ঠেলে বাংলা সিনেমাকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ায় তার লক্ষ্য, জানালেন 'ইন্ডাস্ট্রি' ।
হায়দরাবাদের স্মৃতি...
রামোজি ফিল্মসিটির সৌজন্যে হায়দ্রাবাদ কে বলা হয় ভারতের সিনে হাব। এক সময় জীবনের অনেকটা সময় এখানেই কাটিয়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। শুটিংয়ের প্রয়োজনে এতটাই ব্যস্ত থাকতেন ছেলেকেও নিয়ে আসতে হতো নিজামের শহরে। কোথায় কোথায় জানা গেল, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিল্মসিটিতে হারিয়ে গিয়েছিল ছেলে মিশুক। ছেলের বয়স তখন সবে চার, শুটিং মাথায় তুলে চারিদিকে খোঁজ খোঁজ রব। শেষ পর্যন্ত পাওয়া গেল মিশুক ঘুরছে দারোয়ান মোপেডে চেপে। নিজামের শহরে এসে নস্টালজিয়ায় ভাসলেন বাংলার সুপারস্টার।
আরও পড়ুন
2. আবির্ভাবেই চমক অভিজিতের, তেলেঙ্গানা বেঙ্গলি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বাজিমাত করল 'বিজয়ার পরে'
3. 179 বার বদলেছে চিত্রনাট্য, 'টুয়েলভথ ফেল' ছবির সংলাপ মনে রাখাই চ্যালেঞ্জ ছিল বিক্রান্তের