কলকাতা, 6 অগস্ট: খবরের শিরোনামে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। সোমবার সেই দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দেশ ত্যাগ করেছেন তিনি। জানা গিয়েছে, ঢাকায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করতে চলেছে বাংলাদেশি সেনা। ওপার বাংলার এই সাম্প্রতিক পরিস্থিতির অবিলম্বে সুরাহা চায় এপার বাংলার শিল্পী মহল। পাশাপাশি সোশাল মিডিয়ায় শান্তির বার্তা দিয়েছেন ওপার বাংলার তুফান অভিনেতা শাকিব খান ৷
কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, "ওখানে ঠিক কী হয়েছে সেই ব্যাপারে আমরা কেউই সবটা জানি না। কিন্তু খুবই দুর্ভাগ্যজনক বিষয়। দেখতে হবে ব্যাপারটা কোনদিকে যায়।" রাজ চক্রবর্তী বলেন, "বাংলাদেশ আমাদের খুব প্রিয় একটা দেশ। ওখানকার সংস্কৃতি আমাদের টানে। কোথাও গিয়ে আমরা সকলেই ওই দেশটার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কোনও রাজনৈতিক কথা না ভেবেই চাই ওই দেশে শান্তি ফিরে আসুক যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। আর যেন রক্ত না ঝড়ে।"
পরিচালক সুদেষ্ণা রায় বলেন, " অনেক ভুল খবরও ছড়াচ্ছে। তাই আমরা কেউ সবটা সঠিকভাবে জানি না। তাই অন্য একটা দেশ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারব না। কিন্তু চাই আমাদের মতো সাধারণ মানুষ যেন শান্তি ফিরে পায়। আমাদের অনেক বন্ধুবান্ধব ওখানে রয়েছেন। সবাই যেন ভালো থাকেন।" পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "অনেক রক্ত ঝরেছে। সেই সব পরিবারের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা রয়েছে। অনেক মানুষ মারা গিয়েছেন। তাঁদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা রয়েছে।"
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিচলিত অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, "বাংলাদেশের এই মুহূর্তের পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত। তবে, একটা কাঁটাতারের বেড়া তো আছে। তাই অন্য দেশের সার্বভৌমিকতা নিয়ে অন্য দেশের নাগরিক হয়ে কতটা সংবাদ মাধ্যমকে বলা যাবে সেটা একটা বড় প্রশ্ন। তবে, আমার কিংবা কৌশিক দা'র (গঙ্গোপাধ্যায়) কিংবা আরও অনেকের নাড়ির টান বা পারিবারিক সূত্র আছে বাংলাদেশের সঙ্গে। আমার তো আছেই। তাই চাইব শান্তি ফিরুক।"
তিনি আরও বলেন, "বহু পুলিশ, ছাত্র, সরকারি কর্মী মারা গিয়েছেন। সমবেদনা জানাই তাঁদের পরিবারকে।" এদিন সকালেই জিৎ সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, "বাংলাদেশের এই কঠিন সময়ে আমার প্রার্থনা বাংলাদেশের মানুষদের জন্য। যে সমস্ত ঘটনা সামনে আসছে সেটা খুবই দুঃখজনক। এই ধরনের মর্মান্তিক দৃশ্যের সাক্ষী হওয়া হৃদয়বিদারক।" তিনি আরও লেখেন, "আশা করি এই কঠিন সময় খুব তাড়াতাড়ি পেরিয়ে যাব। প্রতিটা জীবনই মূল্যবান তাই যে কোনও মূল্যে সেটা রক্ষা হওয়া আবশ্যিক। শান্তি বজায় থাকুক।"
প্রসঙ্গত, 2009 সালে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসার পর সেখানকার অর্থনীতি আগের থেকে ভালো জায়গায় পৌঁছেছিল বলে মত রাজনীতিবিদদের ৷ তবে তাঁর বিরুদ্ধেই আবার স্বৈরাচারি সরকার চালানোর অভিযোগও ওঠে। সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে গত মাস থেকেই ছাত্রদের বিক্ষোভ-আন্দোলনে অশান্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ ।