কলকাতা, 2 সেপ্টেম্বর: ছোটবেলা থেকেই মেয়েদের শেখানো হয়, জোরে হাসতে নেই ৷ বেশি রাতে বাইরে থাকতে নেই ৷ ছোট পোশাক পরতে নেই ইত্যাদি ইত্যাদি ৷ এমন অনেক কিছু মেনে চলার পরও ধর্ষণ-শ্লীলতাহানির শিকার বা কুনজরে পড়ে মেয়েরা ৷ তারপর সেই নির্যাতিতার বিচার নয়, খোঁজা হয় দোষ ৷ ঠিক যেমনটাই প্রথমদিকে হয়েছিল আরজি কর কাণ্ডে মৃত পড়ুয়া চিকিৎসকের ক্ষেত্রে ৷ আসলে ভিক্টিম ব্লেমিং মানসিক ব্যাধির মতো তা কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে সমাজকে ৷
এই বিষয়ে সুজন নীল মুখোপাধ্যায় বলেন, "ভিক্টিম ব্লেমিং একটা ব্যাধি, একটা রোগ ৷ এর ওষুধ আমি জানি না। তবে যারা করছে তারাও শাস্তি পাক। ভিকটিম ব্লেমিং থিয়েটারেও হয়। যে দোষী কিছুদিন বয়কট করা হোক এবং বয়কট করার পরে এমন শাস্তি দেওয়া হোক যেন ভবিষ্যতে কর্মক্ষেত্রকে এরকম কলুষিত না করতে পারে ৷"
অভিনেত্রী চৈতি ঘোষাল বলেন, " ভিক্টিম ব্লেমিং চললেও আরজি করের ক্ষেত্রে তা খাটবে না। যারা দোষী তারাই দোষী। ভিক্টিম মৃত ৷ তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছে ।প্রতিবাদ করেছি ৷ যাঁরা লোপাট করল প্রমাণ কেন গ্রেফতার হল না ৷ কর্মরত অবস্থায় প্রিন্সিপ্যাল কেন গ্রেফতার হলেন না ৷ কেউ যদি ভেবে থাকেন এই আন্দোলন আস্তে আস্তে থিতিয়ে যাবে তাহলে ভুল ভাবছেন ৷ এই আন্দোলন আরও প্রবল হবে ৷ ভিক্টিং ব্লেমিং আর চলবে না ৷ এখন পাওয়ার ইজ জনগণ ৷"
অভিনেতা ঋষভ বসু বলেন, "ভিক্টিম ব্লেমিং তারাই করেন যাদের কিছু লুকানোর আছে। শুধু টলিউড না প্রত্যেক ইন্ডাস্ট্রিতে এরকম মানুষ আছেন। এদের খুঁজে বের করে শাস্তি দিতে হবে ৷" ঋষভ বসু আরও বলেন, " যারা আজ মহিলাদের নানা ক্ষেত্রে নিগ্রহ করছেন কাল যে তাঁরা কাউকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলবেন না তার কী গ্যারান্টি আছে? নিচু স্তর থেকে প্রতিবাদ করতে হবে।"