কলকাতা, 14 সেপ্টেম্বর: আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই নিজের স্বাধীন মতামত ব্যক্ত করে আসছেন অভিনেতা তথা সাংসদ দেব ৷ সংবিধান সংশোধন থেকে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বা ফাঁসির আর্জি জানিয়েছেন তিনি। এহেন দেব এবার টলিপাড়ায় 'মি টু', 'ভিকটিম ব্লেমিং' নিয়েও মুখ খুললেন সংবাদমাধ্যমের কাছে ৷
আরজি কর আবহে আরও একটি দিক আলোচনার কেন্দ্রে, তা হল 'মি টু'। বিভিন্ন পেশাতেই কম বেশি যৌন হয়রানি বা অন্যান্য সমস্যার কথা উঠে আসে ৷ ইদানীংকালে টলিপাড়াতেও একের পর এক নারী নিগ্রহের ঘটনা সামনে আসছে।
টলিউড সুপারস্টার দেব বলেন, "মেয়েদেরকে কাজ না পাওয়ার ভয় দেখিয়ে, কাজ না থাকার ভয় দেখিয়ে, কাজের প্রলোভন দেখিয়ে তাঁদের সঙ্গে অসভ্যতা করার ঘোর বিরোধী আমি। শুধু আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে নয়, সব জায়গাতেই এই ধরনের অসভ্যতা চলে।"
অভিনেতা আরও বলেন, "তবে, শুধু মেয়েরাই যে নিগ্রহের শিকার তা নয়, ছেলেরাও নিগ্রহের শিকার হয়। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। অপরাধীকে শাস্তি দিতে হবে। তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আর অপরাধীকে শাস্তি দিতে হবে। আমি আমার সংস্থার কর্মীদের মধ্যে যাঁরা অডিশন সেকশনে আছেন তাঁদের বলে দিয়েছি কাজের বাইরে আর একটা কথাও যেন যাঁরা অডিশন দিতে আসেন তাঁদের সঙ্গে না বলেন। আমি জানতে পারলে তক্ষুণি চাকরি থেকে বরখাস্ত করব।"
সম্প্রতি পরিচালক অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে এক অভিনেত্রী থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন ৷ অভিযোগ উঠেছে জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামেও। এর আগে এহেন অভিযোগ উঠেছিল ধারাবাহিকের পরিচালক সুমন দাসের নামেও। এক সময় অভিযোগ উঠেছিল পরিচালক, নাট্যকর্মী প্রেমাংশু রায়ের বিরুদ্ধেও। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন এখন কেন অভিনেত্রীরা সরব? সেক্ষেত্রে অনেকেই জানিয়েছেন, লজ্জা লেগেছিল, কাজ হারানোর ভয় পেয়েছিলেন ৷ তবে ধীরে ধীরে সমস্যা নিয়ে মুখ খুলছেন অনেক মহিলা অভিনেত্রী থেকে ইন্ডাস্ট্রির আরও অনেকে ৷