ETV Bharat / business

সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা এয়ারটেল-ভোডাফোনের ! 1 লক্ষ কোটি টাকা দিতে হবে কেন্দ্রকে - Supreme Court On AGR Dues Case

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 6 hours ago

SUPREME COURT ON AGR COMPUTATION: টেলিকমিউনিকেশন মন্ত্রককে প্রায় 1 লক্ষ কোটি টাকা দিতে হবে ভারতী এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া-সহ টেলিকম সংস্থাগুলিকে ৷ এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েও ফল হল না ৷ টেলিকম সংস্থাগুলির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের বেঞ্চ ৷

SUPREME COURT ON AGR COMPUTATION
সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা এয়ারটেল-ভোডাফোনের (ইটিভি ভারত)

নয়াদিল্লি, 19 সেপ্টেম্বর: এয়ারটেল, ভোডাফোন-সহ বড় টেলিকম সংস্থাগুলিকে বড় ধাক্কা দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বকেয়া পুনরুদ্ধার (এজিআর) সম্পর্কিত তাদের কিউরেটিভ পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে । টেলিকম সংস্থাগুলির কাছে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রায় 1.7 লক্ষ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে । টেলিকম সংস্থাগুলি এজিআর সংগ্রহে অনিয়মের অভিযোগ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ৷ কিন্তু, দেশের শীর্ষ আদালত ফের তাদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে । এটি ভোডাফোনের জন্য একটি বড় ধাক্কা ! কারণ, ভোডাফোনেরই প্রদেয় অর্থের পরিমাণ প্রায় 70 হাজার কোটি টাকা ।

এজিআর নিয়ে টেলকম সংস্থা এবং কেন্দ্রের মধ্যে 14 বছরের দীর্ঘ আইনি লড়াই

সুপ্রিম কোর্ট 2019 সালে এই সংক্রান্ত টেলিকম সংস্থাগুলির আবেদনও খারিজ করেছিল। এরপর সুপ্রিম কোর্ট টেলিকম সংস্থাগুলিকে তিন মাসের মধ্যে 92 হাজার কোটি টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় । এই নির্দেশের বিরুদ্ধে ফের সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিল সংস্থাগুলি। সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে আরেকটি আদেশ জারি করেছিল এবং সংস্থাগুলিকে 10 বছরের মধ্যে সমস্ত বকেয়া জমা দিতে বলেছিল।

টেলিকম সংস্থাগুলি এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন দায়ের করেছিল, যা বাতিল করা হয়। 2023 সালে, সংস্থাগুলি ফের একটি কিউরেটিভ পিটিশনের মাধ্যমে ত্রাণ চেয়েছিল ৷ কিন্তু, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদনও প্রত্যাখ্যান করে দেয় । সুপ্রিম বেঞ্চে কিউরেটিভ পিটিশনের শুনানি হয় । সংস্থাগুলি প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে অনুরোধ করেছিল যে, মামলাটি একটি 'ওপেন কোর্ট'-এ শুনানি করা হোক ৷ তবে সে আবেদনও খারিজ হয়েছে । 30 অগস্ট প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি গাভাইয়ের বেঞ্চ বসেছিল। চেম্বারে সিদ্ধান্ত হয় যে আবেদনের কোনও যোগ্যতা নেই। 'ওপেন কোর্ট'-এ শুনানির দাবিও তাই খারিজ হয়ে যায়।

এজিআর বা অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভিনিউ-এর বিষয়টি কী?

এজিআর মানে অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভিনিউ। টেলিকমিউনিকেশন মন্ত্রক টেলিকম কোম্পানির কাছ থেকে ব্যবহার এবং লাইসেন্সিং ফি সংগ্রহ করে । 1999 সালে টেলিকম কোম্পানিগুলি থেকে নির্দিষ্ট লাইসেন্স ফি নেওয়া হয়েছিল। এতে কোম্পানিগুলিকে এজিআরের অংশ সরকারের সঙ্গে ভাগ করে নিতে হবে। ভোডাফোন-সহ অনেক টেলিকম সংস্থার কাছে এই বাবদ বিপুল অঙ্কের টাকা বকেয়া রয়েছে। অক্টোবর 2019-এ, সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল যে এজিআর বা অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভিনিউ হিসেব করার সময় নন-কোর রেভিনিউ অন্তর্ভুক্ত করা উচিত ৷ এই সুপ্রিম রায়ে অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভিনিউ-এর সংজ্ঞা নিয়ে টেলকম অপারেটর এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে 14 বছরের দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের অবসান ঘটে।

এই মামলার জেরে ভারতী এয়ারটেল এবং ভোডাফোন আইডিয়ার দায় 90,000 কোটি টাকারও বেশি বেড়েছে। এর পরেই টেলিকম সংস্থাগুলি বকেয়া পরিশোধের জন্য আরও সময় চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। এর পরে, 2020 সালের সেপ্টেম্বরে, সুপ্রিম কোর্ট 10 বছরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধের অনুমতি দেয়। তবে, এজিআর সংক্রান্ত সর্বশেষ আবেদনটি খারিজ হওয়ার পর ভারতী এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া-সহ টেলিকম সংস্থাগুলিকে প্রায় 1 লক্ষ কোটি টাকা দিতে হবে টেলিকমিউনিকেশন মন্ত্রককে ৷

নয়াদিল্লি, 19 সেপ্টেম্বর: এয়ারটেল, ভোডাফোন-সহ বড় টেলিকম সংস্থাগুলিকে বড় ধাক্কা দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বকেয়া পুনরুদ্ধার (এজিআর) সম্পর্কিত তাদের কিউরেটিভ পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে । টেলিকম সংস্থাগুলির কাছে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রায় 1.7 লক্ষ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে । টেলিকম সংস্থাগুলি এজিআর সংগ্রহে অনিয়মের অভিযোগ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ৷ কিন্তু, দেশের শীর্ষ আদালত ফের তাদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে । এটি ভোডাফোনের জন্য একটি বড় ধাক্কা ! কারণ, ভোডাফোনেরই প্রদেয় অর্থের পরিমাণ প্রায় 70 হাজার কোটি টাকা ।

এজিআর নিয়ে টেলকম সংস্থা এবং কেন্দ্রের মধ্যে 14 বছরের দীর্ঘ আইনি লড়াই

সুপ্রিম কোর্ট 2019 সালে এই সংক্রান্ত টেলিকম সংস্থাগুলির আবেদনও খারিজ করেছিল। এরপর সুপ্রিম কোর্ট টেলিকম সংস্থাগুলিকে তিন মাসের মধ্যে 92 হাজার কোটি টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় । এই নির্দেশের বিরুদ্ধে ফের সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিল সংস্থাগুলি। সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে আরেকটি আদেশ জারি করেছিল এবং সংস্থাগুলিকে 10 বছরের মধ্যে সমস্ত বকেয়া জমা দিতে বলেছিল।

টেলিকম সংস্থাগুলি এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন দায়ের করেছিল, যা বাতিল করা হয়। 2023 সালে, সংস্থাগুলি ফের একটি কিউরেটিভ পিটিশনের মাধ্যমে ত্রাণ চেয়েছিল ৷ কিন্তু, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদনও প্রত্যাখ্যান করে দেয় । সুপ্রিম বেঞ্চে কিউরেটিভ পিটিশনের শুনানি হয় । সংস্থাগুলি প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে অনুরোধ করেছিল যে, মামলাটি একটি 'ওপেন কোর্ট'-এ শুনানি করা হোক ৷ তবে সে আবেদনও খারিজ হয়েছে । 30 অগস্ট প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি গাভাইয়ের বেঞ্চ বসেছিল। চেম্বারে সিদ্ধান্ত হয় যে আবেদনের কোনও যোগ্যতা নেই। 'ওপেন কোর্ট'-এ শুনানির দাবিও তাই খারিজ হয়ে যায়।

এজিআর বা অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভিনিউ-এর বিষয়টি কী?

এজিআর মানে অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভিনিউ। টেলিকমিউনিকেশন মন্ত্রক টেলিকম কোম্পানির কাছ থেকে ব্যবহার এবং লাইসেন্সিং ফি সংগ্রহ করে । 1999 সালে টেলিকম কোম্পানিগুলি থেকে নির্দিষ্ট লাইসেন্স ফি নেওয়া হয়েছিল। এতে কোম্পানিগুলিকে এজিআরের অংশ সরকারের সঙ্গে ভাগ করে নিতে হবে। ভোডাফোন-সহ অনেক টেলিকম সংস্থার কাছে এই বাবদ বিপুল অঙ্কের টাকা বকেয়া রয়েছে। অক্টোবর 2019-এ, সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল যে এজিআর বা অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভিনিউ হিসেব করার সময় নন-কোর রেভিনিউ অন্তর্ভুক্ত করা উচিত ৷ এই সুপ্রিম রায়ে অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভিনিউ-এর সংজ্ঞা নিয়ে টেলকম অপারেটর এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে 14 বছরের দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের অবসান ঘটে।

এই মামলার জেরে ভারতী এয়ারটেল এবং ভোডাফোন আইডিয়ার দায় 90,000 কোটি টাকারও বেশি বেড়েছে। এর পরেই টেলিকম সংস্থাগুলি বকেয়া পরিশোধের জন্য আরও সময় চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। এর পরে, 2020 সালের সেপ্টেম্বরে, সুপ্রিম কোর্ট 10 বছরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধের অনুমতি দেয়। তবে, এজিআর সংক্রান্ত সর্বশেষ আবেদনটি খারিজ হওয়ার পর ভারতী এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া-সহ টেলিকম সংস্থাগুলিকে প্রায় 1 লক্ষ কোটি টাকা দিতে হবে টেলিকমিউনিকেশন মন্ত্রককে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.