ভরতপুর(রাজস্থান), 24 জুলাই: শ্রাবণ মাস চলছে ৷ এই মাসকে বলা হয় শিবের মাস ৷ মহাদেবের কৃপা পেতে শ্রাবণ মাসে উপোস, ব্রত তো অনেকেই করেন ৷ কিন্তু জানেন কি, রাজস্থানের একটি গ্রামে রয়েছে 1 হাজার 100 বছরের পুরনো জাগ্রত শিবলিঙ্গ ?
আজও নিয়মিত শিবলিঙ্গের পুজো করা হয় গ্রামে ৷ এখানকার মানুষ বিশ্বাস করেন যে, এটি শুধু একটি শিবলিঙ্গ নয়, এটি গ্রামের রক্ষক ৷ এই শিবলিঙ্গটি রয়েছে রাজস্থানের ভরতপুর থেকে 5 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নৌহ গ্রামে ৷ এই শিবলিঙ্গের ইতিহাসও অনেক প্রাচীন ।
- 200 বছর ধরে পূজিত হচ্ছে শিবলিঙ্গ
গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা হারমুল শর্মা জানান, প্রায় 200 বছর ধরে গ্রামে স্থাপিত এই প্রাচীন শিবলিঙ্গের পূজা করে আসছেন স্থানীয়রা । এই শিবলিঙ্গ অতি প্রাচীন । গ্রামে খননের সময় ঐতিহাসিকরা এটিকে প্রায় 1100 বছরের পুরানো বলে বর্ণনা করেছিলেন । সে সময় ছিল তাম্রযুগ ৷ বর্তমানে এই শিবলিঙ্গ গ্রামে অবস্থিত ঐতিহাসিক স্মৃতিসৌধের মাঠে প্রতিষ্ঠিত ।
- গ্রামকে রক্ষা করেন মহাদেব
গ্রামবাসীদের দাবি, এটি কোনও সাধারণ শিবলিঙ্গ নয় । এই শিবলিঙ্গের অলৌকিক শক্তি আছে । হারমুল শর্মা জানান, এই প্রাচীন শিবলিঙ্গটি বছরের পর বছর ধরে তাঁদের গ্রামকে রক্ষা করে আসছে । যখনই গ্রামে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসে, এই শিবলিঙ্গ পুরো গ্রামকে তা থেকে রক্ষা করে । তাঁদের কথায়, কয়েক বছর ধরে গ্রামে কোনও শিলাবৃষ্টি হয়নি এবং তার কারণ এই অলৌকিক শিবলিঙ্গ । গ্রামে শিলাবৃষ্টি শুরু হলে এই শিবলিঙ্গের শঙ্খ বাজিয়ে প্রদক্ষিণ করলেই শিলাবৃষ্টি থেমে যায় ।
- অনেক সভ্যতার ইতিহাস গ্রামে সমাহিত
এটি উল্লেখযোগ্য, নৌহ গ্রামে তাম্র আর্য ও মহাভারত যুগের সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে । 1963 সালে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এই গ্রামে খননকালে মৌর্য যুগের শুঙ্গ, কুষাণ, তাম্র, আর্য ও মহাভারত সভ্যতার ধংসাবশেষ পেয়েছে । আর্কোলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার বোর্ড বসানো রয়েছে গ্রামে ৷