নয়াদিল্লি, 23 জানুয়ারি: গুজরাত হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ গত বছর অক্টোবর মাসে গুজরাতের খেড়াতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কয়েকজন ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে মারধর করা হয় ৷ এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চার পুলিশ আধিকারিককে দোষী সাব্যস্ত করে গুজরাত হাইকোর্ট ৷ তাঁদের 14 দিনের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত ৷ হাইকোর্টের সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ওই চার পুলিশ আধিকারিক ৷ এই মামলায় মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ কারাদণ্ডের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে মামলার শুনানি করতে রাজি হয়েছে। তবে শীর্ষ আদালতের তোপের মুখেও পড়তে হয়েছে অভিযুক্ত পুলিশ আধিকিরিকদের।
এদিন পুলিশ আধিকারিকদের এই ধরনের আচরণের তীব্র নিন্দা করেন দুই বিচারপতি ৷ তাঁরা বলেন, "সাধারণ মানুষকে খুঁটিতে বেঁধে প্রকাশ্যে মারধর করা হয়েছে ৷ এটা কী ধরনের নৃশংসতা!" পুলিশ আধিকারিকদের পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী সিদ্ধার্থ দাভে দাবি করেন, তাঁর মক্কেলরা ইতিমধ্যে ফৌজদারি মামলার পাশাপাশি বিভাগীয় মামলা এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন ৷
এরপর আইনজীবী দেভ আদালত অবমাননার মামলায় পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের রায় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ৷ পাশাপাশি তিনি জানান, পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আগে কোনও অভিযুক্তর সঙ্গে কী ব্যবহার করা হবে, তা নিয়ে ডিকে বসুর একটি নির্দেশিকা রয়েছে ৷ সেই নির্দেশিকা এক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃতভাবে অমান্য করা হয়নি ৷ এরপর বেঞ্চের তরফ থেকে প্রশ্ন করা হয়, "তা বলে আইনের উপরও আপনার কর্তৃত্ব আছে? খুঁটির মধ্যে ব্যক্তিকে বেঁধে মারধর করার অধিকার আছে? আবার সেটার ভিডিয়ো করার অধিকারও আছে?"
বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরার পর বেঞ্চ চার পুলিশ অফিসারদের আপিল পুনরায় বিবেচনা করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। দাভে অবমাননার মামলায় হাইকোর্টের আদেশে স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ করেছিলেন। এরপরেই বিচারপতি গাভাই বলেন, "জেল হেফাজত উপভোগ করুন। আপনারা আপনাদের সহকর্মীদের কাছেই অতিথি হবেন। তাঁরা আপনাদের বিশেষ ট্রিটমেন্ট দেবেন।"
আরও পড়ুন:
1. বিলকিস মামলায় 'সুপ্রিম মোড়', গোধরা জেলে 11 দোষীর আত্মসমর্পণ
2. কড়া নিরাপত্তায় পরিষ্কার হল জ্ঞানবাপী মসজিদের সিল করা জলের ট্যাঙ্ক
3. খুনের পর ধর্ষণ ! অটোচালকের বিকৃতির শিকার নার্স, গ্রেফতার অভিযুক্ত