নয়াদিল্লি, 8 মার্চ: লোকসভা থেকে বহিষ্কারের বিরুদ্ধে মহুয়া মৈত্রর দায়ের করা মামলা আগামী সোমবার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে ৷ শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও দীপঙ্কর দত্তর বেঞ্চে এই শুনানি হবে ৷ এর আগে সুপ্রিম কোর্টের কাছে সাংসদ পদ খারিজের সিদ্ধান্তের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ চেয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের এই নেত্রী ৷ বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও দীপঙ্কর দত্তর বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন ৷
গত তিন জানুয়ারি এই নিয়ে লোকসভার সচিবালয়ের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল শীর্ষ আদালত ৷ পাশাপাশি এই বিষয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে কি না, সেই বিষয়টিও পর্যবেক্ষণে রেখেছিল ৷ লোকসভার সচিবালয়ের পক্ষে আদালতে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা ৷ তিনি আদালতে জানিয়েছিলেন, দেশের অন্য একটি সার্বভৌম্য প্রতিষ্ঠানের অন্দরের বিষয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না ৷ সদস্যদের সম্পর্কিত কোনও বিষয়ে সংসদ নিজেই পদক্ষেপ করতে পারে ৷ এক্ষেত্রে বিচারব্যবস্থার পর্যালোচনা যুক্তিযুক্ত নয় ৷ তাই মহুয়া মৈত্রর আবেদন খারিজ করা উচিত বলে তিনি জানান ৷
মহুয়া মৈত্রর হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেছিলেন কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিংভি ৷ তিনি আদালতে দাবি করেন, তৃণমূলের ওই নেত্রীকে সাংসদ হিসেবে পাওয়া লগ-ইন আইডি অন্যকে দেওয়ার অভিযোগে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ৷ হ্যাকিং বিরুদ্ধে থাকা নিয়ম প্রয়োগ করে তাঁকে বহিষ্কার করা হয় ৷
উল্লেখ্য়, গত বছর অক্টোবরে মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে তিনি ঘুষ নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন করেছেন ৷ মহুয়া সাংসদ হিসেবে পাওয়া তাঁর লগ-ইন আইডি অন্য কাউকে দিয়েছেন ৷ এই ঘটনা দেশের সুরক্ষার সঙ্গে আপোশ করার সামিল৷ আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদ্রাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি লোকসভার অধ্যক্ষকে জানান বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে ৷ লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা, তা পাঠিয়ে দেন এথিক্স কমিটির কাছে ৷
সেই কমিটি রিপোর্ট জমা দেয় ৷ সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে গত 8 ডিসেম্বর শীতকালীন অধিবেশন চলার সময় এই নিয়ে লোকসভায় আলোচনা হয় ৷ তবে সেই আলোচনায় মহুয়াকে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি ৷ পরে অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুলে তাঁকে বহিষ্কারের প্রস্তাব পেশ করেন সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী ৷ ধ্বনি ভোটে সেই প্রস্তাব পাশ হয় ৷ লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয় কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে ৷
(সংবাদসংস্থা - পিটিআই)
আরও পড়ুন: