ETV Bharat / bharat

প্রয়োজনীয় নথি নেই, দশকের পর দশক থানায় বন্দী দেবতা ! - God idols locked in police station

Stolen God idols locked in police station: সরকারি ব্যবস্থা এবং কাগজপত্রের বেড়াজালে আটক স্বয়ং দেবতা ৷ থানায় বন্দী খোদ মূর্তি ৷ কয়েক দশক পেরিয়ে গেলেও হয়নি সমাধান ৷

Stolen God idols locked in police station
18 বছর ধরে থানাতেই বন্দী স্বয়ং দেবতা ! (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 29, 2024, 5:06 PM IST

পালামৌ, 29 সেপ্টেম্বর: পালামৌর বিশ্রামপুর থানা এলাকার পঞ্চমুখী মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে 1986 এবং 1991 সালে । মন্দির থেকে কুবের এবং ভগবান বিষ্ণুর দুই পার্ষদ জয় ও বিজয়ের মূর্তি চুরি হয়ে যায়। কুবেরের মূর্তি উদ্ধারের পর মন্দিরে ফিরিয়ে দেওয়া হলেও বিশ্রামপুর থানার মালখানায় এখনও বন্দী জয় ও বিজয়ের মূর্তিগুলি ৷

1987 সালের শেষে জয় ও বিজয়ের মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছিল ৷ কিন্তু প্রায় 37 বছর হয়ে গেলেও এখনও সেগুলি থানার মালখানাতেই পড়ে আছে। জয় ও বিজয়ের মূর্তি সম্পর্কে পঞ্চমুখী মন্দিরের পুরোহিত অচ্যুতানন্দ পাণ্ডে বলেন, "বহুদিন হয়ে গিয়েছে ৷ মূর্তির কোনও নথি পাওয়া যাচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরেই আমরা চেষ্টা করছি।" একই সঙ্গে তিনি জানান, আইনি প্রক্রিয়া চলাকালীন, তাঁকে এও বলা হয়েছিল, তাঁকে প্রমাণ করতে হবে যে তিনি মন্দিরের পুরোহিত।

1872 সালে বিশ্রামপুরের রাজমাতা হীরানাথ কুঁওয়ার এই পঞ্চমুখী মন্দির নির্মাণ করেন। মন্দিরে অষ্টধাতুর মূর্তিও স্থাপন করা হয়। মন্দিরের ঐতিহাসিক গুরুত্বও বিরাট ৷ বিশ্রামপুর রাজপরিবারের সদস্য রাগিনী সিং জানান, চুরির ঘটনার পরে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল ৷ মূর্তিগুলি ফিরিয়ে আনার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই প্রচেষ্টা চলছে। সঠিক নথি না থাকার দরুণ সম্ভব হচ্ছে না। এই মন্দিরের যাবতীয় দেখাশোনা শুধুমাত্র রাজপরিবারই করে।

অন্যদিকে, পঞ্চমুখী মন্দিরে চুরির ঘটনায় অভিযুক্তদের মৃত্যু হয়েছে। সকলেই বিশ্রামপুর এলাকার বাসিন্দা। এক চোর মূর্তিটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে কাটার চেষ্টা করেছিল ৷ যদিও তাঁর স্ত্রী নিষেধ করেন ৷ এরপরই ওই অভিযুক্তের স্ত্রী তার মা'কে গোটা বিষয়টি জানায়। তারাই পুলিশের কাছে গিয়ে সবটা জানানোর পর চুরি যাওয়া মূর্তি উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে পালামৌর পুলিশ সুপার রিশমা রমেসান বলেন, আদালত থেকে এখনও এই মূর্তিগুলি ছাড়ার নির্দেশ আসেনি, যার জেরে এগুলো মালখানাতেই সুরক্ষিত রয়েছে।"

পালামৌ, 29 সেপ্টেম্বর: পালামৌর বিশ্রামপুর থানা এলাকার পঞ্চমুখী মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে 1986 এবং 1991 সালে । মন্দির থেকে কুবের এবং ভগবান বিষ্ণুর দুই পার্ষদ জয় ও বিজয়ের মূর্তি চুরি হয়ে যায়। কুবেরের মূর্তি উদ্ধারের পর মন্দিরে ফিরিয়ে দেওয়া হলেও বিশ্রামপুর থানার মালখানায় এখনও বন্দী জয় ও বিজয়ের মূর্তিগুলি ৷

1987 সালের শেষে জয় ও বিজয়ের মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছিল ৷ কিন্তু প্রায় 37 বছর হয়ে গেলেও এখনও সেগুলি থানার মালখানাতেই পড়ে আছে। জয় ও বিজয়ের মূর্তি সম্পর্কে পঞ্চমুখী মন্দিরের পুরোহিত অচ্যুতানন্দ পাণ্ডে বলেন, "বহুদিন হয়ে গিয়েছে ৷ মূর্তির কোনও নথি পাওয়া যাচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরেই আমরা চেষ্টা করছি।" একই সঙ্গে তিনি জানান, আইনি প্রক্রিয়া চলাকালীন, তাঁকে এও বলা হয়েছিল, তাঁকে প্রমাণ করতে হবে যে তিনি মন্দিরের পুরোহিত।

1872 সালে বিশ্রামপুরের রাজমাতা হীরানাথ কুঁওয়ার এই পঞ্চমুখী মন্দির নির্মাণ করেন। মন্দিরে অষ্টধাতুর মূর্তিও স্থাপন করা হয়। মন্দিরের ঐতিহাসিক গুরুত্বও বিরাট ৷ বিশ্রামপুর রাজপরিবারের সদস্য রাগিনী সিং জানান, চুরির ঘটনার পরে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল ৷ মূর্তিগুলি ফিরিয়ে আনার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই প্রচেষ্টা চলছে। সঠিক নথি না থাকার দরুণ সম্ভব হচ্ছে না। এই মন্দিরের যাবতীয় দেখাশোনা শুধুমাত্র রাজপরিবারই করে।

অন্যদিকে, পঞ্চমুখী মন্দিরে চুরির ঘটনায় অভিযুক্তদের মৃত্যু হয়েছে। সকলেই বিশ্রামপুর এলাকার বাসিন্দা। এক চোর মূর্তিটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে কাটার চেষ্টা করেছিল ৷ যদিও তাঁর স্ত্রী নিষেধ করেন ৷ এরপরই ওই অভিযুক্তের স্ত্রী তার মা'কে গোটা বিষয়টি জানায়। তারাই পুলিশের কাছে গিয়ে সবটা জানানোর পর চুরি যাওয়া মূর্তি উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে পালামৌর পুলিশ সুপার রিশমা রমেসান বলেন, আদালত থেকে এখনও এই মূর্তিগুলি ছাড়ার নির্দেশ আসেনি, যার জেরে এগুলো মালখানাতেই সুরক্ষিত রয়েছে।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.