নয়াদিল্লি, 8 ফেব্রুয়ারি: কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বৃহস্পতিবার লোকসভায় ভারতীয় অর্থনীতি নিয়ে শ্বেতপত্র পেশ করেছেন । নির্মলা সীতারামন তাঁর অন্তর্বর্তী বাজেট বক্তৃতায় ঘোষণা করেছিলেন যে কেন্দ্রীয় সরকার 2014 সাল পর্যন্ত ইউপিএ শাসনের 10 বছরের অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার রূপরেখা দিয়ে অর্থনীতির উপর একটি শ্বেতপত্র নিয়ে আসবে । সেটাই আজ পেশ করা হল ৷
59 পাতার ওই শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, 2014 সালে মোদি সরকার যখন ক্ষমতায় আসে, তখন অর্থনীতি ভঙ্গুর অবস্থায় ছিল ৷ সরকারি আর্থিক ব্যবস্থা খারাপ অবস্থায় ছিল ৷ অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা ও আর্থিক শৃঙ্খলাহীনতা এবং ব্যাপক দুর্নীতি ছিল । কেন্দ্রের শ্বেতপত্র অনুসারে, 2014 সালে অর্থনীতি সঙ্কটে পড়েছিল ৷ সেই সময় যদি এই শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হত, তাহলে নেতিবাচক বর্ণনা তখন বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমিয়ে দিত ৷
ওই শ্বেতপত্রে লেখা হয়েছে, রাজনৈতিক ও নীতিগত স্থিতিশীলতায় সজ্জিত এনডিএ সরকার পূর্বসূরি ইউপিএ-র থেকে ভিন্ন ৷ বৃহত্তর অর্থনৈতিক মঙ্গলের জন্য অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনডিএ সরকার । দ্রুত সংশোধন করার পরিবর্তে এনডিএ সরকার সাহসী পদক্ষেপ করে সংস্কার করে৷ আর শক্তিশালী পরিকাঠামো তৈরি করেছে ৷ গত দশ বছরে এনডিএ সরকার সফলভাবে পূর্ববর্তী ইউপিএ সরকারের রেখে যাওয়া চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে উঠেছে । ইউপিএ সরকার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে সহজতর করতে ব্যর্থ হয়েছিল ৷ পরিবর্তে বাধা সৃষ্টি করে অর্থনীতির গতি আটকে দিয়েছিল ।
শ্বেতপত্রে আরও লেখা হয়েছে, 2014-র আগের সময়ের প্রতিটি চ্যালেঞ্জ এনডিএ সরকারের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা এবং শাসনের মাধ্যমে পরাস্ত হয়েছে ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ভারতকে দীর্ঘমেয়াদী উচ্চ অর্থনৈতিকবৃদ্ধির দৃঢ় পথে রেখেছে । ইউপিএ আমলে অসংখ্য কেলেঙ্কারি ছিল, যা রাজকোষের জন্য বিশাল রাজস্ব ক্ষতি এবং রাজস্ব ঘাটতি নিয়ে আসে । 2014 সালে এনডিএ সরকার একটি গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিল ৷ তার পরও এই সরকার দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক বৃদ্ধির পরিস্থিতি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে ৷
ওই শ্বেতপত্রে আরও লেখা হয়েছে, এখনও অনেক কাজ বাকি আছে৷ 2047 সালের মধ্যে ভারতে উন্নত দেশের পরিণত করতে হবে ৷ তাই এই সময়কালকে ‘কর্তব্যকাল’ বলে শ্বেতপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: