নয়াদিল্লি, 29 জুন: ভারী বর্ষায় বিপর্যস্ত দিল্লি ৷ এই আবহে ভয়াবহ দুর্ঘটনা গ্রেটার নয়ডার সুরাজপুরে ৷ একটি নির্মীয়মাণ বাড়ি ধসে গুরুতর আহত আট শিশু ৷ তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে মৃত্যু হয় 3 শিশুর ৷ বাকি 5 জনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক ৷ ঘটনাটি ঘটেছে সুরাজপুর থানা এলাকার খোদনা কালা গ্রামে ৷ ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা ৷
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে জলমগ্ন সমগ্র দিল্লি-সহ এনসিআর ৷ জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রবল বৃষ্টিতে ধসে যায় নির্মীয়মাণ বাড়িটির ছাদ এবং দেওয়াল ৷ সেইসময় ঘটনাস্থলে খেলছিল 8 জন শিশু ৷ ফলে ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে যায় তারা ৷ ঘটনা খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পুরো গ্রামে ৷ সঙ্গেসঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় গ্রামবাসীরা ৷ ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে শিশুদের বের করে আনেন তাঁরা ৷ নিয়ে যাওয়া নিকটবর্তী এক হাসপাতালে ৷ সেখানেই 3 শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা ৷
খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছন শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকরা ৷ ঘটনা প্রসঙ্গে গৌতমবুদ্ধ নগরের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শিবহরি মীনা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় সুরাজপুর থানার অন্তর্গত সাগিরে নির্মীয়মাণ বাড়িটি হঠাৎ ভেঙে পড়ে । সেখানে 8 জন শিশু খেলা করছিল ৷ বাড়ির ছাদ ও দেওয়াল ধসে সবাই তার নীচে চাপা পড়ে যায় ৷ খবর পেয়ে পুলিশ এবং গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত শিশুদেরকে উদ্ধার করে কাছাকাছি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । সেখানে চিকিৎসক তিন শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন । কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা জানা যায়নি এখনও ৷ তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মূলত রাতভর বৃষ্টির জেরে এই ঘটনা ঘটেছে ৷
অন্যদিকে, একটানা বৃষ্টিতে বসন্ত বিহার এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির দেওয়াল ধসে মৃত্যু হয়েছে তিন শ্রমিকের ৷ শুক্রবার প্রবল বৃষ্টির কারণে বাড়িটির একটি দেওয়াল ভেঙে পড়ে ৷ ঘটনার সময় নির্মীয়মাণ বাড়িটির কাছে তৈরি এক ঝুপড়িতে ছিলেন ওই তিন শ্রমিক ৷ ফলে ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে যান তাঁরা ৷ খবর পাওয়া মাত্রই তাঁদের উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় পুলিশ, দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদ্যসরা ৷ রাতভোরের চেষ্টার পর শনিবার সকালে 3 শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় ৷