চণ্ডীগড়, 12 এপ্রিল: মহেন্দ্রগড় স্কুলবাস দুর্ঘটনায় স্কুলের অধ্যক্ষ দীপ্তি রাও, স্কুলের সম্পাদক হোশিয়ার সিং এবং বাসচালক মহেন্দ্রকে শুক্রবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শিক্ষা দফতরের দাবি, এখনও পর্যন্ত তদন্তে জানা গিয়েছে মহেন্দ্রগড়ের জিএল পাবলিক স্কুলের বাসগুলির বৈধ ফিটনেস শংসাপত্র নেই। এরপরই সতর্ক হয়েছে পরিবহণ দফতর। অতিরিক্ত পরিবহণ কমিশনারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী অসীম গোয়েল ৷
ইতিমধ্যেই পরিবহণ মন্ত্রী অসীম গোয়াল ঘটনার বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ৷ একই সঙ্গে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি বলেন, "এর পিছনে যারাই দায়ী থাকুক, তাদের জবাবদিহি করতেই হবে। তদন্তে দু'জন দোষী প্রমাণিত হলেও তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" জানা গিয়েছে, এডিসি'র সভাপতিত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে ৷
মহেন্দ্রগড় জেলা আধিকারিক স্কুল দুর্ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছেন। এই কমিটি ঘটনার কারণ ও পরিস্থিতি খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত করবে ৷ দ্রুত তাদের তদন্ত রিপোর্টও জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ এই কমিটির চেয়ারম্যান রয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ৷ এছাড়াও কমিটির সদস্য রয়েছেন মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট (কানিনা), উপ-পুলিশ সুপার (কানিনা) ও জেলা শিক্ষা অফিসার (নার্নাউল)। কমিটিকে বিষয়টি তদন্ত করে যত দ্রুত সম্ভব রিপোর্ট জমা করতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার, হরিয়ানা শিক্ষা দফতর এই সমস্ত বিষয়ে রাজ্যের সমস্ত জেলা শিক্ষা আধিকারিক, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এবং রাজ্যের সমস্ত ব্লক শিক্ষা অফিসারদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডেকেছে। বৈঠকে রাজ্য সরকারের ঠিক করে দেওয়া নির্ধারিত যানবাহন নিরাপত্তা নীতি পর্যালোচনা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এদিন বিকেল তিনটে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালে স্কুল বাসে দুর্ঘটনাটি ঘটে। সকাল সাতটার দিকে সেলাং গ্রাম থেকে বেরিয়েছিল বাসটি। যা ঝাদলি, খেদি ও ধানউন্টা গ্রাম হয়ে স্কুলে যায়। সকাল আটটার দিকে কানিনা মহেন্দ্রগড় রোডের ইউরো স্কুলের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে শিশুদের স্কুলটি প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে। দুর্ঘটনার সময় বাসটিতে প্রায় 40 থেকে 42 জন শিশু ছিল। যার মধ্যে সাত শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন