কোঝিকোড়, 10 অগস্ট: তারিখটা 29 জুলাই ৷ সেদিন মধ্যরাত থেকে কেরলে পার্বত্য এলাকা ওয়েনাড়ে শুরু হয় তুমুল বৃষ্টি ৷ পরপর ভূমিধস, মৃত্যু মিছিল, বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় কেরলের ওয়েনাড় ৷ প্রকৃতির এই ধ্বংসলীলায় দক্ষিণী রাজ্যের ওই এলাকায় মৃত্যুর সংখ্যাটা সাড়ে 300'র কাছাকাছি ৷ এই বিপর্যয়ে নিয়মিত খোঁজখবর নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ আজ, শনিবার বিধ্বস্ত ওয়েনাড়ের পরিস্থিতি খতিয়ে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি ৷ বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি বৈঠকও করেন প্রধানমন্ত্রী। আকাশপথে গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি ৷ তারপরে প্রশাসনের তরফে গোটা পরিস্থিতি তাঁকে ব্য়াখ্যা করা হয় ৷
ওয়েনাড় এবং কেরল প্রধানমন্ত্রীর এই একদিনের সফর থেকে অনেক কিছু আশা করছে। কেরল সরকার ভাঙাচোরা ওয়েনাড়কে ফেরাতে অর্থাৎ পুনর্বাসন কার্যক্রমের জন্য 2000 কোটি টাকার আর্জি জানিয়েছে ৷ কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ইতিমধ্যেই কেন্দ্রকে জানিয়েছেন, 1200 কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে ওয়েনাড়ে ৷ তিনি, ওয়েনাড়ের পরিস্থিতি ফের স্বাভাবিক করতে ধাপে ধাপে পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মোদিকে ৷ আজ, প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মুখ্যসচিব একটি পর্যালোচনা সভাও করবেন ৷ কেরলও এই দাবি করেছে যে ওয়েনাড় বিপর্যয়কে 'জাতীয় বিপর্যয়' ঘোষণা করা হোক।
সে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ভিডি সতীসানও ওয়েনাড়ের এই বিধ্বংস্ত অবস্থাকে যদি জাতীয় বিপর্যয় হিসাবে ঘোষণা না-করাও হয় তাহলে একটি বিশেষ প্যাকেজের অনুমতি দেওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন। এদিন উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী ৷ পুনর্বাসনের কাজ খতিয়ে দেখবেন। ত্রাণ শিবিরগুলিতেও যাবেন প্রধানমন্ত্রী। যাবেন হাসপাতালে। দেখা করবেন ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের সঙ্গে। বৈঠকের পর একইসঙ্গে ত্রাণ শিবিরগুলির পরিস্থিতি নিয়েও তাঁকে তথ্য দেবেন আধিকারিকরা ৷ উল্লেখ্য, ঘটনার দু'দিন পরেই ওয়েনাড়ের বিধ্বংস্ত অবস্থা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি ৷