গুয়াহাটি, 15 জুলাই: সামান্য হলেও উন্নতি হয়েছে অসমের বন্যা পরিস্থিতির ৷ যদিও এখনও অনেক গ্রামই জলের তলায় রয়েছে ৷ এখনও পর্যন্ত বন্যায় 93 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ 91 জনের মৃত্যুর খবর আগেই পাওয়া গিয়েছিল ৷ গত 24 ঘণ্টায় আরও দু’জন মারা গিয়েছে ৷ এক শিশু-সহ দু’জন মারা গিয়েছেন অসমের বরাক জেলার করিমগঞ্জে ৷
অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর থেকে পাওয়া সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ব্রহ্মপুত্র-সহ একাধিক নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় অসমের 21টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় ৷ ওই জেলাগুলির বহু গ্রাম তলায় চলে যায় ৷ সেখান থেকে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছে ৷
ওই তথ্য অনুযায়ী, এখন 18 জেলা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে রয়েছে ৷ এই জেলাগুলির 1342টি গ্রাম জলের তলায় রয়েছে ৷ এই গ্রামগুলিতে বসবাসকারী প্রায় 5.97 লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৷ প্রায় 30 হাজার মানুষ এখনও ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়ে রয়েছেন ৷ এদিকে দীর্ঘ সময় জল জমে থাকায় বিভিন্ন জলবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে ৷ প্রশাসনের তরফে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে আক্রান্তদের ৷
ওই তথ্য অনুযায়ী, অসমের ওই 18টি জেলার অধিকাংশ কৃষিজমি জলের তলায় চলে গিয়েছে ৷ ফলে ফসলের ক্ষতি হয়েছে ৷ সেই ক্ষতির পরিমাণ ঠিক কতটা, তা এখনও প্রশাসনের তরফে নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি ৷ আশা করা হচ্ছে, জল নামলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে ৷
এছাড়া রাস্তাঘাটও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ বহু রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে ৷ প্রশাসন সূত্রে খবর, আপাতত যোগাযোগ রাখা যাবে, এমনভাবে রাস্তা মেরামতি করা হচ্ছে ৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে রাস্তা সংস্কারের কাজ নতুন করে শুরু করা হবে ৷ দিচাং নাংলামুড়া ঘাটে নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে মনে করছেন অনেকে ৷ কারণ, আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে যে জুলাই মাসে রাজ্যের বেশিরভাগ অংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ৷ এছাড়াও কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৷ কারও কারও আশঙ্কা পরিস্থিতি আরও খারাপ হলেও হতে পারে ৷