ETV Bharat / bharat

শিয়রে লোকসভা নির্বাচন, মাইসোর পেইন্টসকে 26 লক্ষ ভায়াল কালি তৈরির বরাত কমিশনের

Lok Sabha Polls 2024: এই কালি কলঙ্কের নয়, বরং গর্বের। ভোট দেওয়ার পর এখন অনেকেই গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের 'অহঙ্কার' ধরে রাখেন ছবিতে ৷ সামনেই লোকসভা নির্বাচন ৷ তার আগে কর্ণাটক সরকারের অধীনস্থ দ্য মাইসোর পেইন্টস অ্যান্ড বার্নিশ লিমিটেডকে কালি তৈরির দায়িত্ব দিন জাতীয় নির্বাচন কমিশন ৷ 26 লক্ষ শিশি (ভায়াল) কালি তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে ৷

26 লক্ষ ভায়াল কালি তৈরির বরাত কমিশনের
Lok Sabha Polls 2024
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 21, 2024, 5:15 PM IST

মাইসোর, 21 ফেব্রুয়ারি: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন ৷ আর সেই নির্বাচন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে 26 লক্ষ ভায়াল (শিশি) কালি তৈরির বরাত পেল 'দ্য মাইসোর পেইন্টস অ্যান্ড বার্নিশ লিমিটেড' ৷ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে 1962 সাল থেকে কর্ণাটক সরকারের অধীনস্থ এই সংস্থা কালি তৈরির বরাত দেওয়া হচ্ছে ৷

এমনিতে এই কালি খোলা বাজারে বিক্রি হয় না। বরাত দিয়ে বানাতে হয়। নির্বাচন কমিশন ছাড়া আর কেউ বরাত দিতে পারেও না এই ভোটের কালি। গোটা দেশে মাত্র দু-একটি সংস্থার হাতেই রয়েছে কালি তৈরির বরাত। যদিও আজও ভোটের কালি তৈরির ফর্মুলা সাধারণের কাছে অজানা। যা ভোটদানের চিহ্নস্বরূপ সাধারণ মানুষের বাঁ-হাতের তর্জনীতে লাগানো হয় ৷ যাঁরা এই কালি তৈরিতে যুক্ত, তাঁরাও গোটাটা জানেন না। একেক জন এক একেকটি অংশ জানেন। 'সবে মিলে করি কাজ' ফর্মুলায় তৈরি হয় ভোটের কালি।

তথ্য বলছে, 1962 সালে এব্যাপারে উদ্যোগ নেয় সরকার। নির্বাচন কমিশন, আইন মন্ত্রক, ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরি অফ ইন্ডিয়া এবং ন্যাশনাল রিসার্চ ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন একযোগে একটি চুক্তি করে। চুক্তি হয় মাইসোর পেইন্টস অ্যান্ড বার্নিশ লিমিটেডের সঙ্গে। চুক্তি মোতাবেক, সহজে মুছে যায় না, এমন বিশেষ ধরনের কালি তৈরির বরাত পায় সংস্থাটি। যে কোনও ভোটের কালি তৈরির বরাত একমাত্র এদের এক্তিয়ারেই।

দ্য মাইসোর পেইন্টস অ্যান্ড বার্নিশ লিমিটেডের পরিচালক কে মহম্মদ ইরফান সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন, "একজন ব্যক্তির বাম হাতের তর্জনীতে এই কালি দেওয়া হয় ভোটাধিকার প্রয়োগের প্রমাণ হিসাবে ৷ এবার আমাদের কাছে মোট অর্ডার এসেছে প্রায় 26.5 লক্ষ শিশি কালির যার মধ্যে প্রায় 60 শতাংশ ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে রাজ্যগুলিতে ৷ যা বাকি আছে তা আগামী 20 মার্চের মধ্যে পৌঁছে যাবে।"

প্রায় 700 জনের আঙুলে কালি দেওয়ার জন্য প্রয়োজন হয় 10 ​​মিলিলিটার শিশি কালি ৷ ভুয়ো ভোট আটকাতে, এক ব্যক্তির একাধিক ভোট এড়াতে এবং প্রত্যেকের ভোট নিশ্চিত করতে ভোটের কালির গুরুত্ব অপরিসীম। দিন দশেক আঙুলে স্পষ্ট বোঝা যায় এই ভোটের কালি। ইরফান আরও বলেন, "আগে, কালি কাঁচের শিশিতে সরবরাহ করা হলেও এখন প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করা হয় ৷ কালি সংরক্ষণের জন্য অ্যাম্বার রংয়ের প্লাস্টিকের পাত্র আবশ্যক ৷ যা আগে বাদামি রংয়ের কাঁচের বোতলে সংরক্ষণ করা হত। কালিতে সিলভার নাইট্রেট থাকে, যা ত্বকের সংস্পর্শে এসে কালো হয়ে যায়।"

আরও পড়ুন:

  1. লোকসভা নির্বাচন, রাজ্যের জন্য সর্বোচ্চ 920 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইল কমিশন
  2. লোকসভা নির্বাচনের আগে শহরে বাড়তি সতর্কতা, নগরপালের নির্দেশে গ্রেফতার কুখ্যাত 'খরগোশ' ও 'চ্যাপ্টা'
  3. ফের রাজ্যে শাহী-আগমন, 29 ফেব্রুয়ারি বঙ্গ সফরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মাইসোর, 21 ফেব্রুয়ারি: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন ৷ আর সেই নির্বাচন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে 26 লক্ষ ভায়াল (শিশি) কালি তৈরির বরাত পেল 'দ্য মাইসোর পেইন্টস অ্যান্ড বার্নিশ লিমিটেড' ৷ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে 1962 সাল থেকে কর্ণাটক সরকারের অধীনস্থ এই সংস্থা কালি তৈরির বরাত দেওয়া হচ্ছে ৷

এমনিতে এই কালি খোলা বাজারে বিক্রি হয় না। বরাত দিয়ে বানাতে হয়। নির্বাচন কমিশন ছাড়া আর কেউ বরাত দিতে পারেও না এই ভোটের কালি। গোটা দেশে মাত্র দু-একটি সংস্থার হাতেই রয়েছে কালি তৈরির বরাত। যদিও আজও ভোটের কালি তৈরির ফর্মুলা সাধারণের কাছে অজানা। যা ভোটদানের চিহ্নস্বরূপ সাধারণ মানুষের বাঁ-হাতের তর্জনীতে লাগানো হয় ৷ যাঁরা এই কালি তৈরিতে যুক্ত, তাঁরাও গোটাটা জানেন না। একেক জন এক একেকটি অংশ জানেন। 'সবে মিলে করি কাজ' ফর্মুলায় তৈরি হয় ভোটের কালি।

তথ্য বলছে, 1962 সালে এব্যাপারে উদ্যোগ নেয় সরকার। নির্বাচন কমিশন, আইন মন্ত্রক, ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরি অফ ইন্ডিয়া এবং ন্যাশনাল রিসার্চ ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন একযোগে একটি চুক্তি করে। চুক্তি হয় মাইসোর পেইন্টস অ্যান্ড বার্নিশ লিমিটেডের সঙ্গে। চুক্তি মোতাবেক, সহজে মুছে যায় না, এমন বিশেষ ধরনের কালি তৈরির বরাত পায় সংস্থাটি। যে কোনও ভোটের কালি তৈরির বরাত একমাত্র এদের এক্তিয়ারেই।

দ্য মাইসোর পেইন্টস অ্যান্ড বার্নিশ লিমিটেডের পরিচালক কে মহম্মদ ইরফান সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন, "একজন ব্যক্তির বাম হাতের তর্জনীতে এই কালি দেওয়া হয় ভোটাধিকার প্রয়োগের প্রমাণ হিসাবে ৷ এবার আমাদের কাছে মোট অর্ডার এসেছে প্রায় 26.5 লক্ষ শিশি কালির যার মধ্যে প্রায় 60 শতাংশ ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে রাজ্যগুলিতে ৷ যা বাকি আছে তা আগামী 20 মার্চের মধ্যে পৌঁছে যাবে।"

প্রায় 700 জনের আঙুলে কালি দেওয়ার জন্য প্রয়োজন হয় 10 ​​মিলিলিটার শিশি কালি ৷ ভুয়ো ভোট আটকাতে, এক ব্যক্তির একাধিক ভোট এড়াতে এবং প্রত্যেকের ভোট নিশ্চিত করতে ভোটের কালির গুরুত্ব অপরিসীম। দিন দশেক আঙুলে স্পষ্ট বোঝা যায় এই ভোটের কালি। ইরফান আরও বলেন, "আগে, কালি কাঁচের শিশিতে সরবরাহ করা হলেও এখন প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করা হয় ৷ কালি সংরক্ষণের জন্য অ্যাম্বার রংয়ের প্লাস্টিকের পাত্র আবশ্যক ৷ যা আগে বাদামি রংয়ের কাঁচের বোতলে সংরক্ষণ করা হত। কালিতে সিলভার নাইট্রেট থাকে, যা ত্বকের সংস্পর্শে এসে কালো হয়ে যায়।"

আরও পড়ুন:

  1. লোকসভা নির্বাচন, রাজ্যের জন্য সর্বোচ্চ 920 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইল কমিশন
  2. লোকসভা নির্বাচনের আগে শহরে বাড়তি সতর্কতা, নগরপালের নির্দেশে গ্রেফতার কুখ্যাত 'খরগোশ' ও 'চ্যাপ্টা'
  3. ফের রাজ্যে শাহী-আগমন, 29 ফেব্রুয়ারি বঙ্গ সফরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.