নয়াদিল্লি, 2 জুলাই: সাধারণ সময়ের 6 দিন আগে পুরো দেশজুড়ে প্রভাব দেখাতে শুরু করল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ৷ মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় মৌসম ভবন ৷ এ সংক্রান্ত বিবৃতিতে আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, সাধারণত দেশের সবক’টি রাজ্যে বর্ষা 8 জুলাই ঢোকে ৷ কিন্তু, এবছর 2 জুলাই অর্থাৎ, নির্ধারিত সময়ের 6 দিন আগেই মৌসুমি বায়ু ভারতের প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে প্রবেশ করেছে ৷
বিশেষত, রাজস্থান, হরিয়ানা ও পঞ্জাবে সময়ের বেশ কিছুদিন আগেই বর্ষার বৃষ্টির শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ ফলে আজই পুরো দেশজুড়ে বর্ষা ঢুকে গিয়েছে ৷ উল্লেখ্য, গত 30 মে কেরলে প্রথম বর্ষা ঢোকে ৷ তারপর ঠিকঠাক গতিতে এগোতে শুরু করলেও, মাঝপথে মহারাষ্ট্র পর্যন্ত গিয়ে বর্ষা থমকে যায় ৷ যার ফলে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, বিহার, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশে বর্ষার প্রবেশ বিলম্বিত হয় ৷ বলতে গেলে বর্ষার অপেক্ষা এই রাজ্যগুলিতে দীর্ঘায়িত হয়েছে ৷ এর ফলে তাপপ্রবাহ শুরু হয়ে যায় ৷ যার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছিল উত্তর-পশ্চিম ভারতে ৷
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে দেশে 16 দিনের কার্যকরী বৃষ্টিপাতের ঘাটতি রয়েছে ৷ 11-27 জুন এই সময়ের মধ্যে দেশের অধিকাংশ রাজ্যে বৃষ্টিপাত প্রায় না-এর সমান ছিল ৷ যার জেরে জুন মাসে স্বাভাবিকের থেকে কম বৃষ্টি হয়েছে ভারতে ৷ জুন মাসের নিরিখে ভারতে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হওয়া উচিত হল 165.3 মিলিমিটার ৷ সেখানে মাত্র 147.2 মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ৷ যা 2001 সাল থেকে সপ্তম সর্বনিম্ন ৷
দেশে চার মাসের বর্ষার মরশুমে 87 সেন্টিমিটারের মোট বৃষ্টিপাতের মধ্যে 15 শতাংশ কভার হয় জুন মাসের বৃষ্টিতে ৷ তবে, সোমবার মৌসম ভবন জানিয়েছিল, দেশে চলতি জুলাই মাসে স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হবে ৷ যা জুন মাসের 16 দিনের বৃষ্টির ঘাটতি মেটাতে পারে ৷ কিন্তু, জুলাইয়ে এই অতিবৃষ্টিতে হিমালয়ের পশ্চিম প্রান্তের রাজ্যগুলিতে বন্যার প্রবল সম্ভাবনা থাকছে ৷ সেই সঙ্গে মধ্য ভারতের নদী তীরবর্তী রাজ্যগুলিতেও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে ৷