বেগুসরাই, 24 ফেব্রুয়ারি: প্রথমে নাবালিকাকে অপহরণ ৷ তারপর নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে একমাস ধরে তাকে লাগাতার গণধর্ষণের অভিযোগ ৷ অবশেষে মেয়েটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷ তবে নাবলিকার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে । ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বেগুসরাইয়ের একটি গ্রামে ৷
নাবালিকার বয়ান অনুযায়ী, কয়েকমাস আগে একই গ্রামের এক যুবক ওই নাবালিকাকে বাড়িতে একা পেয়ে তাকে ধর্ষণ করেছিল। এই ঘটনার পর গ্রামবাসী ছেলেটিকে ধরে বেধড়ক মারধর করে। এমতাবস্থায় নাবালিকার দিদিমা ওই যুবককে তার নাতনিকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। ছেলেটি তখন রাজি হলেও পরে নিজের সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসে । এরপরেই এই বিষয়ে অভিযোগ জানাতে নাবালিকা বাড়ি থেকে থানার উদ্দেশে বের হয় ৷
অভিযোগ, থানায় যাওয়ার পথে 27 জানুয়ারি ওই নাবালিকাকে অজ্ঞান করে ওই যুবক । মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে পড়লে যুবক তার কয়েকজন বন্ধুর সহায়তায় তাকে অপহরণ করে । মেয়েটির জ্ঞান ফেরার পর সে দেখতে পায় যে একটি অন্ধকার ঘরে রয়েছে । তবে কোথায় রয়েছে তা জানতে পারে না । এরপর থেকে লাগাতার প্রায় চার-পাঁচজন যুবক তাকে মাদক খাইয়ে এক মাস ধরে ধর্ষণ করতে থাকে । একবার নাবালিকা পালানোরও চেষ্টাও করে ৷ তবে যুবকরা নাবালিকাকে ধরে ফেলে ও তাকে বেধড়ক মারধর করে ।
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, এরপরেও শুক্রবার আবার নাবালিকার কাছে সেখান থেকে পালানোর সুযোগ আসে ৷ নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সকলে ঘুমিয়ে পড়লে মেয়েটি এক যুবকের প্যান্টের পকেট থেকে চাবি বের করে দরজা খুলে বেরিয়ে আসে। তবে কিছুক্ষণ পরেই যুবকেরা টের পেয়ে মেয়েটির পিছু নেয় ৷ মেয়েটি কোনওক্রমে অটোতে করে মুঙ্গের থেকে বেগুসরাই পৌঁছয় এবং ডায়াল 112 নম্বরে ফোন করে সাহায্য চায় ।
এরপর ফোন পেয়ে নগর থানার ডায়াল 112-র চালক অভিনন্দন কুমার স্টেশনের কাছে থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। যুবকেরা মেয়েটিকে ধাওয়া করে আবার অপহরণ করার চেষ্টা করছিল বলে অভিযোগ ৷ যদিও পুলিশকে দেখে সকলে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশকে দেখে মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে যায় ৷ পরে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভরতি করা হয় । মেয়েটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও জ্ঞান ফেরার পর সে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া নৃশংসতার পুরো কাহিনী পুলিশকে জানায়। বর্তমানে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ । এ বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটিকে অপহরণের বিষয়ে থানায় কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি ।
আরও পড়ুন: