নয়াদিল্লি, 27 জুন: লোকসভার অধ্যক্ষ জরুরি অবস্থার বিষয়টি চাইলে এড়িয়ে যেতে পারতেন ৷ বৃহস্পতিবার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার সঙ্গে দেখা করে তাঁর এই ক্ষোভের কথা জানালেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি ৷ অধ্যক্ষের আসনে বসে এই ধরনের রাজনৈতিক প্রসঙ্গ উত্থাপন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন কংগ্রেস সাংসদ ৷ এনিয়ে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল চিঠিও দিয়েছেন অধ্যক্ষকে ৷
বুধবার ধ্বনিভোটের মাধ্যমে বিজেপি সাংসদ ওম বিড়লাকে নির্বাচিত করা হয় ৷ এদিন অধিবেশনে তাঁর প্রথম দিনেই তিনি 1975 সালের জরুরি অবস্থা নিয়ে নিন্দা প্রস্তাব রাখেন এবং তা পড়ে শোনান ৷ 49 বছর আগে 25 জুন তারিখে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি দেশজুড়ে ইমার্জেন্সি বা জরুরি অবস্থা আরোপ করেছিলেন ৷ সংসদে এই বিতর্কিত ঘটনার নিন্দা করে সুকৌশলে কংগ্রেসকে তুলোধনা করেছে বিজেপি সরকার, মনে করছে রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহল ৷
#WATCH | Congress MP KC Venugopal says " lok sabha speaker officially declared rahul gandhi as the leader of opposition today. it was a courtesy from rahul gandhi to meet and thank him. political statements from the speaker's mouth could have been avoided yesterday. what was there… pic.twitter.com/5NlFpeJFt0
— ANI (@ANI) June 27, 2024
26 জুন লোকসভা অধিবেশনে জরুরি অবস্থার কথা কেন বললেন অধ্যক্ষ ওম বিড়লা ? এর সমর্থনে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরণ রিজিজু বলেন, "26 জুন ভোরে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন ৷ সেই বৈঠকেই জরুরি অবস্থার প্রস্তাব পাশ হয় ৷" তাই এদিন লোকসভায় এর নিন্দা প্রস্তাব পড়ে শুনিয়েছেন অধ্যক্ষ ওম বিড়লা ৷
এদিকে বৃহস্পতিবার অধ্যক্ষের সঙ্গে রাহুল গান্ধির দেখা করা প্রসঙ্গে দলের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল বলেন, "এটা নিছকই সৌজন্য সাক্ষাৎকার ৷ আজই রাহুল গান্ধিকে সরকারিভাবে বিরোধী দলনেতা হিসেবে ঘোষণা করেন অধ্যক্ষ ওম বিড়লা ৷ এরপর ইন্ডিয়া শিবিরের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ওম বিড়লার সঙ্গে দেখা করেন তিনি ৷"
ওই সাক্ষাতেই জরুরি অবস্থার ইস্যুটি তোলেন রাহুল ৷ কংগ্রেস সাংসদ কেসি বেণুগোপাল বলেন, "আমরা সংসদের কাজকর্ম নিয়ে আলোচনা করেছি ৷ সেখানে এই ইস্যুটি উঠে আসে ৷ রাহুলজি বিরোধী দলনেতা হিসেবে অধ্যক্ষকে জানান, অধ্যক্ষ জরুরি অবস্থার উত্থাপন না-করলেও পারতেন ৷ এটা পরিষ্কার একটি রাজনৈতিক প্রসঙ্গ ৷ তিনি এটা এড়িয়ে যেতে পারতেন ৷" এদিন রাহুল গান্ধির সঙ্গে ছিলেন সমাজবাদী পার্টির ধর্মেন্দ্র যাদব, ডিএমকের কানিমোঝি, শিবসেনা সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
বুধবার বিরোধী দলের সদস্যরা বারবার অধ্যক্ষের কাছে নিরপেক্ষ থাকার আবেদন জানিয়েছেন ৷ অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কড়া নিন্দার পর বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও তাঁর ভাষণে জরুরি অবস্থার কথা উল্লেখ করেন ৷ এর তীব্র সমালোচনা করেন ৷