নয়াদিল্লি, 18 অগস্ট: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) ৷ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক মহিলা পড়ুয়া চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় একাধিক দাবি তুলে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইল আইএমএ ৷ শনিবার এই ইস্যুতেই সরাসরি প্রধামন্ত্রী মোদিকে চিঠি দিয়েছে আইএমএ।
আইএমএ-র চিঠিতে বলা হয়েছে, "শোকাহত পরিবারের জন্য উপযুক্ত এবং মর্যাদাপূর্ণ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ৷ আমরা আপনার স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্যে মহিলাদের সুরক্ষা সম্পর্কে মন্তব্যের প্রশংসা করি। আমরা এই পর্যায়ে আপনার হস্তক্ষেপের জন্য আবেদন করছি। এটি শুধুমাত্র মহিলা চিকিৎসকদের নয়, কর্মক্ষেত্রে প্রতিটি মহিলাকেও আস্থা দেবে। আমাদের দাবি পূরণের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আপনার হস্তক্ষেপ চাইছি ৷"
আইএমএ 1897 সালের মহামারী আইনে 2020-এর সংশোধনীগুলিকে 'স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা কর্মী এবং ক্লিনিকাল এস্টাবলিশমেন্টস (হিংসা নিষিদ্ধকরণ এবং সম্পত্তি বিল 2019)'-এর খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কেন্দ্রীয় আইনের দাবি করেছে। আইএমএ জানিয়েছে, বর্তমান যে আইনগুলি আছে, সেগুলিকে আরও শক্তিশালী করা উচিত ৷
IMA আরও দাবি করেছে, প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে হাসপাতালগুলিকে যথাযত নিরাপত্তা দিয়ে সেগুলিকে সুরক্ষিত এবং নিরাপদ এলাকা হিসাবে ঘোষণা করা উচিত। চিঠিতে আইএমএ লিখেছে, "সমস্ত হাসপাতালের নিরাপত্তা শর্তগুলি বিমানবন্দরের নিরাপত্তার চেয়ে কোনও অংশে কম হওয়া উচিত নয়। বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা সুনিশ্চিতকরণ-সহ হাসপাতালগুলিকে নিরাপদ এলাকা হিসাবে ঘোষণা করার দাবি জানানো হয়েছে এই চিঠিতে। সিসিটিভি, নিরাপত্তা কর্মীদের মোতায়েন এবং নিরাপত্তার অন্যান্য ব্যবস্থাগুলি অনুসরণ করতে হবে এ ক্ষেত্রে ৷"
আইএমএ চিঠিতে লিখেছে, "36 ঘন্টার শিফটিং ডিউটি করে বিশ্রামের জন্য নিরাপদ স্থানের অভাবে এবং পর্যাপ্ত বিশ্রামাগারের অভাবে আবাসিক চিকিৎসকদের কাজ করতে হচ্ছে ৷ ওই পড়ুয়া চিকিৎসকের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল ৷" এরই সঙ্গে, আরজি কর ঘটনার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অপরাধের তদন্ত এবং ন্যায়বিচারেরও দাবি করেছে সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠন।