ETV Bharat / bharat

আস্থা ভোটে জয়ী ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন - Hemant Soren

Hemant Soren: চলতি বছরের গোড়ার দিকে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন ৷ তার পর ইডি তাঁকে গ্রেফতার করে ৷ সম্প্রতি তিনি জামিন পেয়েছেন ৷ ফের বসেছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্য়মন্ত্রী পদে ৷ সোমবার তাঁর সরকার জয়ী হল আস্থা ভোটে ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 8, 2024, 3:55 PM IST

Hemant Soren
আস্থা ভোটে জয়ী ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (ইটিভি ভারত)

রাঁচি, 8 জুলাই: জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর ফের ঝাড়খণ্ডের মুখ্য়মন্ত্রী পদে বসেছেন হেমন্ত সোরেন ৷ সোমবার তাঁর সরকার ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আস্থা ভোটেও জিতেছে ৷ এই নিয়ে ওই রাজ্য়ের বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন বসে ৷ সেখানে আস্থা প্রস্তাব পেশ করেন হেমন্ত ৷ তার পর ভোটাভুটি হয় ৷ সেই ভোটাভুটিতে প্রস্তাবের পক্ষে মোট 45টি ভোট পড়ে, বিরোধিতায় একটি ভোটও পড়েনি । ঝাড়খণ্ডের চলতি বিধানসভায় এই নিয়ে চারবার আস্থা প্রস্তাব পেশ হল ৷

আস্থাভোট নিয়ে আলোচনা হয় ৷ সেই আলোচনার সময় বিরোধীরা হইহট্টগোল করে ৷ তার মধ্যেই আলোচনায় অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বিজেপির সমালোচনা করেন ৷ তাঁর দাবি, লোকসভা নির্বাচনে সারা দেশ বিজেপিকে শিক্ষা দিয়েছে ৷ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ঝাড়খণ্ডের মানুষ বিজেপিকে শিক্ষা দেবে ৷ অন্যদিকে হেমন্ত সোরেনের সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন বিরোধী দলনেতা অমর বাউড়ি ৷ তিনি সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনাও করেন ৷

তার পর এনডিএ বিধায়করা বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করে ৷ তবে তার আগেই ভোট প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছিল ৷ বিরোধী বিধায়করা ভোটে অংশ নেননি ৷ নির্দল বিধায়ক সরযু রাই নিরপেক্ষ ছিলেন । ভোট গ্রহণের পর ঝাড়খণ্ড বিধানসভার কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতবি করা হয় ।

আস্থা প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন ঝাড়খণ্ডে আদিবাসী জনসংখ্যার হ্রাস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন । তিনি বলেন, ‘‘সবাই সরকার চালানোর সুযোগ পেলেও রাজ্যে যে পরিবর্তন হওয়া উচিত ছিল, তা হয়নি । গণতন্ত্রে জনগণের অনুভূতির যত্ন নেওয়া উচিত । সবাইকে ইতিবাচকভাবে কাজ করতে হবে ।’’

উল্লেখ্য়, ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন ৷ তার পর ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার তরফে দলের বিধায়ক চম্পাই সোরেনকে পরিষদীয় দলের নেতা হিসেবে বেছে নেওয়া হয় ৷ তিনি মুখ্যমন্ত্রী হন ৷ হেমন্ত জেল থেকে বের হওয়ার পর তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন ৷ সেই জায়গায় তৃতীয়বারের জন্য ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন হেমন্ত ৷

এছাড়া এ দিন আস্থা প্রস্তাবের পক্ষে যাঁরা আলোচনায় অংশ নেন, তাঁরা বিজেপির কড়া সমালোচনা করেন ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কেন মণিপুর যাননি, সেই প্রশ্নও তোলেন ৷ অন্যদিকে বিরোধীরা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার অন্দরে বিরোধ তৈরি করার চেষ্টা করেন ৷

আজসু সুপ্রিমো সুদেশ মাহাতো প্রশ্ন তোলেন, ‘‘এই অবিশ্বাস কোথা থেকে এসেছে ?’’ এর পর তিনি বলেন, ‘‘চম্পাই সোরেনের বিরুদ্ধে এই প্রস্তাব আনা হয়েছে । এটি একটি প্ররোচিত পরিস্থিতি ।’’ তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেনকে পাঁচ মাসের মুখ্যমন্ত্রিত্বের মেয়াদের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন । সুদেশ মাহাতোর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন চম্পাই সোরেন জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছিলেন ।

উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় মোট সদস্য সংখ্যা 81 ৷ সেই হিসেবে ঝাড়খণ্ডে সরকার গঠনের জন্য ম্যাজিক ফিগার 42 ৷ তবে এখন ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় সদস্য সংখ্যা 76 জন ৷ এই 76 জনের মধ্যে 75 জন এ দিন বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন ৷ ফলে 38 জনের সমর্থন পেলেই আস্থা ভোটে জেতা নিশ্চিত হয়ে যেত হেমন্ত সোরেনের ৷ তবে তিনি পেয়েছেন 45টি ভোট ৷

রাঁচি, 8 জুলাই: জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর ফের ঝাড়খণ্ডের মুখ্য়মন্ত্রী পদে বসেছেন হেমন্ত সোরেন ৷ সোমবার তাঁর সরকার ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আস্থা ভোটেও জিতেছে ৷ এই নিয়ে ওই রাজ্য়ের বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন বসে ৷ সেখানে আস্থা প্রস্তাব পেশ করেন হেমন্ত ৷ তার পর ভোটাভুটি হয় ৷ সেই ভোটাভুটিতে প্রস্তাবের পক্ষে মোট 45টি ভোট পড়ে, বিরোধিতায় একটি ভোটও পড়েনি । ঝাড়খণ্ডের চলতি বিধানসভায় এই নিয়ে চারবার আস্থা প্রস্তাব পেশ হল ৷

আস্থাভোট নিয়ে আলোচনা হয় ৷ সেই আলোচনার সময় বিরোধীরা হইহট্টগোল করে ৷ তার মধ্যেই আলোচনায় অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বিজেপির সমালোচনা করেন ৷ তাঁর দাবি, লোকসভা নির্বাচনে সারা দেশ বিজেপিকে শিক্ষা দিয়েছে ৷ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ঝাড়খণ্ডের মানুষ বিজেপিকে শিক্ষা দেবে ৷ অন্যদিকে হেমন্ত সোরেনের সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন বিরোধী দলনেতা অমর বাউড়ি ৷ তিনি সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনাও করেন ৷

তার পর এনডিএ বিধায়করা বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করে ৷ তবে তার আগেই ভোট প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছিল ৷ বিরোধী বিধায়করা ভোটে অংশ নেননি ৷ নির্দল বিধায়ক সরযু রাই নিরপেক্ষ ছিলেন । ভোট গ্রহণের পর ঝাড়খণ্ড বিধানসভার কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতবি করা হয় ।

আস্থা প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন ঝাড়খণ্ডে আদিবাসী জনসংখ্যার হ্রাস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন । তিনি বলেন, ‘‘সবাই সরকার চালানোর সুযোগ পেলেও রাজ্যে যে পরিবর্তন হওয়া উচিত ছিল, তা হয়নি । গণতন্ত্রে জনগণের অনুভূতির যত্ন নেওয়া উচিত । সবাইকে ইতিবাচকভাবে কাজ করতে হবে ।’’

উল্লেখ্য়, ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন ৷ তার পর ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার তরফে দলের বিধায়ক চম্পাই সোরেনকে পরিষদীয় দলের নেতা হিসেবে বেছে নেওয়া হয় ৷ তিনি মুখ্যমন্ত্রী হন ৷ হেমন্ত জেল থেকে বের হওয়ার পর তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন ৷ সেই জায়গায় তৃতীয়বারের জন্য ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন হেমন্ত ৷

এছাড়া এ দিন আস্থা প্রস্তাবের পক্ষে যাঁরা আলোচনায় অংশ নেন, তাঁরা বিজেপির কড়া সমালোচনা করেন ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কেন মণিপুর যাননি, সেই প্রশ্নও তোলেন ৷ অন্যদিকে বিরোধীরা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার অন্দরে বিরোধ তৈরি করার চেষ্টা করেন ৷

আজসু সুপ্রিমো সুদেশ মাহাতো প্রশ্ন তোলেন, ‘‘এই অবিশ্বাস কোথা থেকে এসেছে ?’’ এর পর তিনি বলেন, ‘‘চম্পাই সোরেনের বিরুদ্ধে এই প্রস্তাব আনা হয়েছে । এটি একটি প্ররোচিত পরিস্থিতি ।’’ তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেনকে পাঁচ মাসের মুখ্যমন্ত্রিত্বের মেয়াদের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন । সুদেশ মাহাতোর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন চম্পাই সোরেন জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছিলেন ।

উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় মোট সদস্য সংখ্যা 81 ৷ সেই হিসেবে ঝাড়খণ্ডে সরকার গঠনের জন্য ম্যাজিক ফিগার 42 ৷ তবে এখন ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় সদস্য সংখ্যা 76 জন ৷ এই 76 জনের মধ্যে 75 জন এ দিন বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন ৷ ফলে 38 জনের সমর্থন পেলেই আস্থা ভোটে জেতা নিশ্চিত হয়ে যেত হেমন্ত সোরেনের ৷ তবে তিনি পেয়েছেন 45টি ভোট ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.