নয়াদিল্লি, 11 মার্চ: লোকসভা ভোটের আগে দেশজুড়ে লাগু সিএএ, জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার ৷ 2019 সালের ডিসেম্বরের শীতকালীন অধিবেশনে পাশ হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ৷ সাড়ে চার বছর পর দেশজুড়ে লাগু হল নাগরিকত্ব আইন ৷ কাল থেকেই এই আইন গোটা দেশে বলবৎ হবে ৷
আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সংখ্যালঘুরা যদি ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে 2014 সালের 31 ডিসেম্বরের আগে ভারতে এসে থাকেন এবং নাগরিকত্ব প্রার্থনা করেন, তাহলে তাঁদের এদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে ৷
2019 সালের শীতকালীন অধিবেশনে পাশ হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ৷ পরে তা আইনে পরিণত করার অনুমতি দেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ৷ সেই সময় দেশজড়ো বিক্ষোভ ও পরে কোভিড অতিমারীর জেরে এই আইন কার্যকর হওয়ার বিষয়টি বারবার পিছিয়েছে ৷ সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, লোকসভা নির্বাচনের আগেই এই আইন বলবৎ করবে কেন্দ্র ৷
সিএএ’র 6এ ধারা নিয়েও বহু বিতর্ক হয়েছে ৷ ওই ধারায় বলা হয়েছিল, 1966 সালের 1 জানুয়ারি থেকে এবং 1971 সালের 25 মার্চের আগে যারা অসমে এসেছেন, সকলকেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে । তা নিয়েই আপত্তি তোলেন অসমের আদি বাসিন্দারা । বিক্ষোভে বহু লোকের মৃত্যু হয়। অসম ছাড়াও নয়াদিল্লি, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যেও অশান্তির ঘটনা ঘটে।
ফলে, লোকসভা নির্বাচনের আগে এই সিএএ বিধি পশ্চিমবঙ্গ-সহ আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে বড় ইস্যু হতে চলেছে ৷ বিশেষত এরাজ্যে ৷ যেখানে রোহিঙ্গা সমস্যা সবচেয়ে বড় ইস্যু ৷ সেই সঙ্গে মতুয়াদের নাগরিকত্ব প্রদান দীর্ঘদিনের দাবি ৷ যা বিগত 10 বছরে দাবানলের মতো রাজ্য রাজনীতিতে ছড়িয়ে পড়েছে ৷ যা নিয়ে গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে একাধিকবার রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল ও বিরোধী বিজেপির বাদানুবাদ চরমে উঠেছে ৷
কিন্তু, 2024 লোকসভা নির্বাচনের কয়েকমাস আগে থেকেই শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপির একাংশ নেতা সিএএ দ্রুত লাগু হবে বলে দাবি করতে শুরু করেন ৷ বিশেষত, মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুরের মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ৷ অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মানুষের ধর্ম, অর্থে, বাঁচার অধিকারে বৈষম্য এলে রেয়াত করবে না তৃণমূল কংগ্রেস ৷ নতুন করে জারি করা সিএএ যদি মানুষের বাঁচার পরিপন্থী না হয়, পথে নামবে দল ৷
আরও পড়ুন: