নয়াদিল্লি, 20 জুন: "আমরা এর পুরো দায়িত্ব নিচ্ছি ৷ আমাদের এই পদ্ধতিটি (পরীক্ষা) শোধরাতে হবে", স্বীকার করে নিলেন শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ৷ বুধবার এবছরের ইউজিসি-নিট পরীক্ষা বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রক ৷ 18 জুন পরীক্ষা হয়েছিল ৷ একদিন পরেই পরীক্ষা বাতিল হল ৷ এই ইস্যুতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করেন ধর্মেন্দ্র প্রধান ৷
সাংবাদিক বৈঠকে ইউজিসি-নিট ইস্যু নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "কিছু নির্দিষ্ট প্রশ্নপত্র ডার্কনেটে ছড়িয়ে পড়েছিল ৷ এই তথ্যগুলি আমাদের দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আই4সি ৷ আমরা যখন আমাদের আসল প্রশ্নপত্রের সঙ্গে নথি মিলিয়ে দেখলাম, তখন বুঝতে পারলাম প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে ৷ আপনি যখন এরকম একটি বড়সড় সম্মানীয় পরীক্ষা সংগঠিত করছেন, যেখানে ভবিষ্যতের সহকারী অধ্যাপক এবং পিএইচডি পড়ুয়ারা রয়েছেন, তখন তার মানটাও বজায় রাখতে হবে ৷"
সম্প্রতি ইউজি-নিট পরীক্ষায় বেনিয়মের অভিযোগ তৈরি হয়েছে ৷ এই দুটি পরীক্ষা নিয়েই মন্ত্রী বলেন, "আমি বলতে পারি না যে, আপনাদের যেটা বলছি সেটা খুব আনন্দের ৷ ব্যথার সঙ্গেই বলছি, আমরা এর সব দায় নিচ্ছি ৷ আমাদের পদ্ধতিটি শুধরে নিতে হবে ৷ আমরা খুব শীঘ্রই তারিখও ঘোষণা করব ৷ দেখব, যাতে পড়ুয়াদের উপর কম চাপ পড়ে ৷ কিন্তু সেখানে মান ও স্বচ্ছতা বজায় রাখা হবে ৷"
5 মে সারা ভারতে মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট আয়োজিত হয় ৷ 4 হাজার 750 টি কেন্দ্রে প্রায় 24 লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসেছিল ৷ আশা করা হয়েছিল এর ফলাফল বেরবে 14 জুন ৷ কিন্তু 10 দিন আগে 4 জুন এর ফল প্রকাশিত হয় ৷ জানানো হয়, সময়ের আগে উত্তরপত্রে মান নির্ণয় হয়ে গিয়েছে ৷
ফলাফলে দেখা যায়, কমপক্ষে 67 জন ছাত্র 720 তে 720 নম্বর পেয়েছিলেন, যা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি বা এনটিএ-র ইতিহাসে বিরল থেকে বিরলতম ৷ এই তালিকায় হরিয়ানার ফরিদাবাদের একটি কেন্দ্রের 6 জনের নাম ছিল ৷ তাতে সন্দেহ তৈরি হয় যে, এই পরীক্ষায় বেনিয়ম হয়েছে ৷ অভিযোগ ওঠে, 67 জন পড়ুয়াকে বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়েছে, তাই তাঁরা 720 পেয়েছেন ৷