নয়াদিল্লি, 18 এপ্রিল: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সুগারের রোগী হয়েও ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে চিনি দেওয়া চা, আম, ও মিষ্টি খাচ্ছেন ৷ আদালতে এমনই দাবি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ৷ তাদের দাবি, মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে জামিন পাওয়ার লক্ষ্যেই এই কাজ করছেন কেজরিওয়াল ৷ আর এই কারণেই তাঁর রক্তে শর্করার মাত্রার ওঠানামা করছে বলে উল্লেখ করে ইডি ৷
দিল্লির আবগারি নীতি কেলেঙ্কারির মামলায় ধৃত মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল তাঁর রক্তে শর্করার মাত্রার নিয়মিত পরীক্ষার দাবি জানিয়েছেন রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে ৷ সেই আবেদনের শুনানিতে আদালত তিহাড় সংশোধনাগার থেকে কেজরিওয়ালের ডায়েট চার্ট তলব করেছে । এই মামলার পরবর্তী শুনানি 19 এপ্রিল ।
এ দিন শুনানির সময় আইনজীবী জোহেব হুসেন ইডি-র পক্ষে উপস্থিত হয়ে দাবি করেন যে, মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের রক্তে শর্করা বৃদ্ধির কারণ হল তাঁর বাড়িতে রান্না করা খাবার । তাঁর খাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে দেওয়া হচ্ছে আলু পুরী, আম, মিষ্টি-সহ বিভিন্ন মিষ্টি । ইডি বলেছে যে, চিকিৎসার ভিত্তিতে জামিন চাওয়ার একটি ভিত্তি তৈরি করতে এই কাজ করছেন কেজরিওয়াল । ইডির এই দাবি শুনে তিহাড় সংশোধনাগার থেকে কেজরিওয়ালের ডায়েট চার্ট তলব করে আদাল ত।
কেজরিওয়ালের আবেদনে 16 এপ্রিল ইডি-কে নোটিশ পাঠিয়েছিল আদালত । শুনানির সময় কেজরিওয়ালের পক্ষে উপস্থিত আইনজীবী বলেন যে, তাঁর মক্কেলের রক্তে শর্করার মাত্রা ক্রমাগত বাড়ছে । ইডি হেফাজতের সময় কেজরিওয়ালের রক্তে শর্করার মাত্রা 46-এ পৌঁছয় । এর পরিপ্রেক্ষিতে, তাঁকে গ্রেফতারের আগে যে ডাক্তার তাঁকে পরীক্ষা করতেন, তাঁর সঙ্গে সপ্তাহে তিন দিন ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে পরামর্শ করার অনুমতি দেওয়া উচিত । শুনানির সময় ইডি বলে যে, কারাগারে ডাক্তার রয়েছেন এবং তাঁর পরীক্ষা সেখানেও করা যেতে পারে ।
15 মার্চ আদালত কেজরিওয়ালের বিচার বিভাগীয় হেফাজত 23 এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছিল আদালত । 21 মার্চ কেজরিওয়ালকে দিল্লি হাইকোর্ট গ্রেফতারির রক্ষাকবচ না দেওয়ার পরে ওইদিনই সন্ধ্যায় জিজ্ঞাসাবাদের পরে ইডি তাঁকে গ্রেফতার করে । এই মামলায় কেজরিওয়াল বর্তমানে তিহাড় সংশোধনাগার রয়েছেন ।
আরও পড়ুন: