নয়াদিল্লি, 10 মার্চ: দিল্লির বিভিন্ন বস্তি ভাঙার অভিযানের জন্য একে-অপরের বিরুদ্ধে আঙুল তুলল আম আদমি পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকার এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নর । দিল্লি সরকার অভিযোগ করেছে যে, বিনাই কুমার সাক্সেনা এলজি হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রায় তিন লক্ষ বস্তিবাসীকে গৃহহীন করা হয়েছে । যদিও দিল্লির এলজি অফিস এই দাবিগুলি খারিজ করে দিয়েছে ৷ এই অভিযোগ দিল্লি সরকারের 'নির্লজ্জ মিথ্যা' হিসাবে দাবি করেছে এলজি অফিস ৷
শনিবার জারি করা একটি বিবৃতিতে, দিল্লি সরকার অভিযোগ করেছে যে, এলজির নির্দেশে মেহরাউলির ঘোসিয়া কলোনি ভেঙে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল । দিল্লিবাসী সচেতন যে, বিনাই সাক্সেনা দিল্লির এলজি হওয়ার পর থেকে, দিল্লিতে আগের থেকে গত আড়াই বছরে আরও বেশি বস্তি ভেঙে ফেলা হয়েছে ৷ এলজির নির্দেশে গত আড়াই বছর প্রায় তিন লাখ বস্তিবাসীকে গৃহহীন করা হয়েছে বলে দাবি অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারের ৷
বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়, এটাও প্রকাশ্যে এসেছে যে, এলজির নির্দেশে মেহরাউলির ঘোসিয়া কলোনি অন্যায়ভাবে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল । দিল্লি সরকার যখন বাসিন্দাদের কণ্ঠস্বর আদালতে উত্থাপন করে, তখন হাইকোর্ট এই অভিযানে হস্তক্ষেপ করে । অন্যথায়, এলজি পুরো ঘোসিয়া কলোনি ভেঙে ফেলতেন । একইভাবে, সুন্দর নগর নার্সারির পিছনে একটি বড় বস্তি ক্লাস্টার ছিল, যেটি এলজি আদালতকে বিভ্রান্ত করে ভেঙে দিয়েছেন ৷ সাম্প্রতিক দিনগুলিতে এলজি অসংখ্য লোককে গৃহহীন করেছে । এই কারণে, নির্বাচনের ঠিক আগে এমন নাটকের অবলম্বন করছেন এলজি, কুমিরের কান্না ঝরছে, কারণ এলজিও জানে যে, এবারে বাসিন্দারা দিল্লির অননুমোদিত কলোনি এবং বস্তিগুলি বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দেবে, তোপ দিল্লি সরকারের ৷
দিল্লি সরকার আরও উল্লেখ করেছে, "এটাও লক্ষণীয় যে 2011 সাল থেকে পাকিস্তান থেকে প্রায় 800 হিন্দু উদ্বাস্তু দিল্লিতে বসবাস করছে ৷ দু'দিন আগে, এলজি এই হিন্দু শরণার্থীদের বস্তিও ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ৷ মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল তাদের হয়ে আওয়াজ তুলেছিলেন । অন্যথায়, এলজি সেই 800 হিন্দু উদ্বাস্তুকেো গৃহহীন করার পরিকল্পনা করেছিলেন ।
যদিও দিল্লি সরকারের এই অভিযোগের কড়া জবাব দিয়েছে দিল্লি এলজি অফিস ৷ তারা বলেছে, "এটি একটি নির্লজ্জ মিথ্যা, যেটা দিল্লি সরকারপ্রচার করছে । এলজির নির্দেশে একটিও বস্তিকে ভাঙা হয়নি, কিছুক্ষেত্রে এলজির হস্তক্ষেপের কারণে বস্তি ধ্বংস হওয়া বন্ধ হয়েছে ৷ এলজি অফিসের একজন কর্মকর্তা একটি বিবৃতিতে বলেন, ওরা মাননীয় আদালতকেও ওদের ঘোলাটে খেলায় টেনে নিয়ে যাচ্ছে, এটা খুবই খারাপ । তারা আদালতকে 'বিভ্রান্তিকর' করার অভিযোগ আনছে ৷ তারা যদি মনে করে যে, এলজি আদালতকে বিভ্রান্ত করেছে, তাহলে তারা আদালতের সামনে আসল চিত্র তুলে ধরার আশ্রয় নিচ্ছে না কেন ? কে তাদের বাধা দিচ্ছে ?" (এএনআই)
আরও পড়ুন:
ইডি'র সমন 'বেআইনি', কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কার্যালয়ে ফের হাজিরা এড়ালেন কেজরিওয়াল
'বিজেপির কাছে আপ ভয়ের কারণ', বিধানসভার আস্থা ভোটে জিতেই হুঙ্কার কেজরির
ইডি'র সমন 'বেআইনি', কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কার্যালয়ে ফের হাজিরা এড়ালেন কেজরিওয়াল