নয়াদিল্লি, 29 মার্চ: কংগ্রেসকে আবার নোটিশ দিল আয়কর দফতর ৷ এবার 1823.08 কোটি টাকার নোটিশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন ৷ শুক্রবার তিনি এই কথা জানিয়েছেন ৷ তিনি এই নিয়ে তোপ দাগেন মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ৷ তিনি বলেন, "কংগ্রেসের অন্যান্য সম-মনোভাবাপন্ন বিরোধী দলগুলিকে বেছে বেছে বিজেপির 'ফ্রন্টাল অর্গানাইজেশন' আইটি বিভাগ দ্বারা লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে ৷"
তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে লোকসভা নির্বাচনের আগে আর্থিকভাবে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে ৷ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে হেনস্তা করছে ৷ তিনি বলেন, "বিজেপি কর আইনের গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করেছে ৷ আয়কর দফতরের উচিত আগে তাদের (বিজেপি) থেকে 4600 কোটি টাকারও বেশি দাবি তোলা উচিত ৷"
অন্য একটি সূত্রের খবর, আয়কর রিটার্নে অসঙ্গতির জন্য কংগ্রেসকে এই নতুন নোটিশ পাঠিয়েছে আয়কর দফতর ৷ কংগ্রেসকে এবার 1700 কোটি টাকার নোটিশ পাঠানো হয়েছে ৷ 2017-18 থেকে 2020-21, এই সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্নের ক্ষেত্রে অসঙ্গতি মেলায় এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে ৷ এই 1700 কোটি টাকার মধ্যে রয়েছে জরিমানা ও সুদ ৷ চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকেই আয়কর দফতর থেকে কংগ্রেসকে এই নোটিশ পাঠায় বলে জানা গিয়েছে ৷
এর আগে আয়কর দফতরের তরফে কংগ্রেসকে 210 কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছিল ৷ পাশাপাশি কংগ্রেসের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ এই নিয়ে চরম সমস্যায় পড়তে হয় কংগ্রেসকে ৷ এই নিয়ে গত সপ্তাহে সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্র ও বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল কংগ্রেস ৷
সেই সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, প্রাক্তন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি, প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধি-সহ জয়রাম রমেশ, অজয় মাকেন ও কেসি বেণুগোপাল ৷ সেখানে সোনিয়া থেকে রাহুল এবং মল্লিকার্জুন, সকলেই তোপ দাগেন মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ৷
সেদিন রাহুল দাবি করেছিলেন যে কংগ্রেসের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আয়কর দফতর বন্ধ করে দেওয়ায় তাঁরা কোনও কাজ করতে পারছেন না ৷ লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের জন্যও কোনও খরচ করতে পারছেন না ৷ তিনি অভিযোগ করেছিলেন, কংগ্রেসের অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করে আসলে ভারতের গণতন্ত্রকে ঠান্ডাঘরে পাঠিয়ে দিয়েছে ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক পদক্ষেপ করেছেন ৷
সেদিন সোনিয়া গান্ধি দাবি করেছিলেন যে বিজেপির এই পদক্ষেপ ভারতের গণতন্ত্রকে পঙ্গু করে দিচ্ছে ৷ পুরো ঘটনাকে তিনি নজিরবিহীন ও অগণতান্ত্রিক বলেছিলেন ৷ উল্লেখ্য, এই নিয়ে কংগ্রেস হাইকোর্টেও আবেদন করে ৷ কিন্তু সেখানেও তারা স্বস্তি পায়নি ৷ এখন শেষ ভরসা সুপ্রিম কোর্ট ৷ সেখানে তাদের তরফে আবেদনের সম্ভাবনা রয়েছে ৷
(পিটিআই ইনপুট-সহ)
আরও পড়ুন: