কানপুর, 13 সেপ্টেম্বর: হামসফর এক্সপ্রেসে 11 বছরের কিশোরীর শ্লীলতাহানী ৷ অভিযোগ এক রেলকর্মীর বিরুদ্ধে ৷ পালটা চলতি ট্রেনে রেলকর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ যাত্রীদের বিরুদ্ধে ৷ বারৌনি থেকে নয়াদিল্লিগামী হামসফর এক্সপ্রেসে শ্লীলতাহানীর ঘটনা সামনে এসেছে।
জানা গিয়েছে, ওই মেয়েটি তার পরিবারের সঙ্গে দিল্লি যাচ্ছিল। রাতে ওই কিশোরীর মা শৌচালয়ে গেলে অভিযুক্ত রেল কর্মচারী মেয়েটির সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করেন। মেয়েটি মা-কে পুরো ঘটনা খুলে বলে তাঁকে ৷ এরপরই ক্ষুব্ধ যাত্রীরা অভিযুক্ত রেল কর্মীকে বেধড়ক মারধর করে। যার জেরে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হয় ৷ পরে কানপুরের একটি হাসপাতালে ওই রেলকর্মীর মৃত্যু হয় ৷ অভিযুক্ত রেলকর্মী প্রশান্ত কুমার বিহারের মুজাফফরপুরের সরমস্তাপুর গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। প্রশান্ত কুমার গ্রুপ ডি-তে কোচ অ্যাটেনডেন্ট পদে ছিলেন।
জানা গিয়েছে, বিহারের একটি পরিবার বুধবার নয়াদিল্লি যাওয়ার জন্য হামসাফারে চড়েছিল। পরিবারে 11 বছরের একটি মেয়েও ছিল। মেয়েটির পরিবারের আসনের পাশাপাশি ট্রেনের এসি কোচে বসেছিলেন রেলকর্মী প্রশান্ত কুমারও। বুধবার রাতে মেয়েটির মা শৌচালয় গেলে রেলকর্মী মেয়েটির শ্লীলতাহানী করেন বলে অভিযোগ। মা ফিরে এলে মেয়েটি তার মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে পুরো ঘটনা খুলে বলে।
বিষয়টি পরে সে তাঁর স্বামীকে বিষয়টি জানান ৷ ধীরে ধীরে কামরার অন্য়ান্য যাত্রীরাও ঘটনাটি জানতে পারেন। ক্ষুব্ধ যাত্রীরা অভিযুক্তকে ট্রেনেই বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে। এরপর বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ট্রেনটি কানপুর সেন্ট্রাল রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছলে জিআরপিকে খবর দেওয়া হয়। কানপুর জিআরপি প্রশান্তকে হেফাজতে নেয়। তবে মারধরের জেরে প্রশান্তের স্বাস্থ্যের চূড়ান্ত অবনতি হয়।
এরপরে জিআরপি তাঁকে কানপুরের কেপিএম হাসপাতালে নিয়ে যায়। যেখানে চিকিৎসকরা প্রশান্তকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মেয়েটির মা পকসো ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগ দায়ের করেছেন। কানপুর জিআরপি থানার ইনচার্জ ওম নারায়ণ সিং জানিয়েছেন, অভিযুক্ত প্রশান্তের কাছে সাধারণ শ্রেণির টিকিট ছিল। টিটিইর সঙ্গে কথা বলে তিনি এসি ইকোনমিক কোচের সিট নিয়েছিলেন। ঘটনার বিষয়ে মেয়েটির মায়ের অভিযোগে লখনউয়ের আইশবাগ রেলওয়ে স্টেশনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।