হায়দরাবাদ: সারা পৃথিবীতে বেড়ে চলেছে অটিজম আক্রান্তের সংখ্যা । কিন্তু অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার নিয়ে সমাজে এখনও সচেতনতা নেই বললেই চলে । এই রোগ যে এখনও অবহেলিত তা বলাই য়ায় । বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শিশুর সামাজিক আচরণ যে ভাবে বদলানো উচিত কিন্তু কোনও কোনও কারনে স্নায়বিক কারণে তা হয় না ।
বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস প্রতি বছর 2 এপ্রিল পালিত হয় । অটিজম এমন একটি রোগ যার মধ্যে শিশুর মস্তিষ্ক সঠিকভাবে বিকাশ করতে সক্ষম হয় না । যাঁরা অটিজম স্পেকট্রামে ভোগে তাঁরাও সমাজের অংশ ।
অটিজম কী ?
একটি জটিল নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার । অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার একটি অবস্থা যা শিশুদের মধ্যে নিউরোডেভেলপমেন্টাল অস্বাভাবিকতা দ্বারা চিহ্নিত করা হয় । অটিজম রোগ অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার নামেও পরিচিত । সাধারণত 3 বছর বয়সের আগেই এই রোগ প্রকাশ পায় কিন্তু সারাজীবন ধরেই এই সমস্যাকে বহন করতে হয় । পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে এটি মহিলাদের বেসি দেকা যায় ৷ শিশু জন্মের সময় এটি শনাক্ত করা যায় না এবং অবস্থার প্রকাশগুলি বাবা মা ধীরে ধীরে পর্যবেক্ষণ করেন । সাধারণত এটি পরিবেশগত এবং জেনেটিক কারণগুলির সংমিশ্রণ দ্বারা সৃষ্ট হয় ।
অটিজমের লক্ষণ
সামাজিক যোগাযোগ স্থাপনে অসুবিধা হয় শিশুদের এবং মুখের অভিব্যক্তির অভাব দেখা যায় ৷ যারফলে কথা বলতে অসুবিধা হয় এবং অস্বাভাবিক সুরে কথা বলা ৷ কোনও জিনিসের উপর মনোনিবেস করতে সমস্যা হওয়া ৷ সামাজিক মেলামেশা ও স্বাভাবিক মানসিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বুদ্ধির বিকাশ ঘটে না ৷
চিকিৎসা
চিকিৎসকদের একাংশ বলেন অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারের কোনও স্থায়ী সমাধান নেই । অনেকেই এটাও বলেন সকলের ক্ষেত্রেই একরকমের প্রতিকার কাজে আসবে এমন কথাও নেই । চিকিৎসার উদ্দেশ্য হল অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারের লক্ষণগুলি হ্রাস করা এবং শিশুর কাজ করার ক্ষমতাকে আরও উন্নত করা । অটিজমের চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে ওষুধ, আচরণগত শিক্ষা এবং মনস্তাত্বিক পদ্ধতি যেমন সামাজিক যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি, ইতিবাচক আচরণ এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি ।