দুশ্চিন্তা
স্ট্রেস, উদ্বেগ, ভয় আর দুশ্চিন্তা হল আজকাল বার বার ব্যবহৃত কিছু শব্দ। এই অনুভূতিগুলি জীবনের কোনও না কোনও সময়ে আমাদের সবার হয়, কারণ হয়তো আমরা আসন্ন কোনও পরিস্থিতির অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হতে ভয় পাই, ঠিক পরীক্ষায় বসা, ইন্টারভিউ দেওয়া বা জমায়েতে বক্তৃতা দেওয়ার মতো। কিন্তু এই অনুভূতি সাময়িক এবং কোনও ব্যক্তি এতে অভ্যস্ত হলেই তা অদৃশ্য হয়ে যায়। কিন্তু কিছু মানুষের মধ্যে এই অস্থিরতা অনুভূতি আরও বেশি হতে পারে, এবং একজন স্বাভাবিক প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের থেকে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারে। সুতরাং এধরণের পরিস্থিতিতে একজন অ্যাংজ়াইটি ডিজ়অর্ডারে ভুগতে পারেন, যে নসিয়া, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, ঘামতে থাকা, ঘুমের সমস্যা, অস্থিরতা ইত্যাদি শারীরিক লক্ষণও দেখা দিতে পারে।
পরিসংখ্যান
2017 সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, 7.5% ভারতীয় গুরুতর বা কম মানসিক সমস্যায় ভোগেন। পাশাপাশি, 130 কোটি মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য মাত্র 4500 জন মনোবিদই রয়েছেন।
নিম্নলিখিত খাবারগুলোর সাহায্যে দুশ্চিন্তার মোকাবিলা করা যেতে পারে
1. ডিম
ভিটামিন ডি-র গুরুত্বপূর্ণ উৎস এবং এতে ট্রিপটোফ্যান (একটি অ্যামিনো অ্যাসিড) রয়েছে, যা সেরাটোনিন তৈরি করে, যাতে মুড, ঘুম, স্মৃতি ও আচরণের উন্নতি হয়।
2. কুমড়ো বীজ
পটাশিয়াম সমৃদ্ধ কুমড়ো বীজ ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং রক্তচাপ কমায়। এতে জিঙ্কও রয়েছে, যার অভাবে মনের ওপর ঋণাত্মক প্রভাব পড়তে পারে।
3. ডার্ক চকলেট
৭০ শতাংশ বা তার বেশি কোকো সমৃদ্ধ চকলেট মুড নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিত। এর মধ্যে প্রচুর ট্রিপটোফ্যান আছে, যা মুড ভাল করার জন্য দায়ী সেরাটোনিন তৈরি করে। এতে ম্যাগনেশিয়ামও রয়েছে যা ডিপ্রেশনের উপসর্গ কমায়।
4. দই
ফার্মেন্টেশনের মাধ্যমে এতে উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়, যারা প্রোবায়োটিক বলে পরিচিত। এরা দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ কমায়।
5. গ্রিন টি
এতে থিয়ানিন বলে একটি অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে, যা দুশ্চিন্তা কমাতে সাহাষ্য করে। ঠিকই বলা হয়, যে ‘তুমি যা খাও, তুমি তেমনই’, তা অ্যাংজাইটি ডিজ়অর্ডারের সঙ্গে আমাদের খাবারের যোগ থাকত পারে। এই ধরণের মানসিক সমস্যা ক্রমেই বাড়ছে, বিশেষ করে টিনএজার এবং তরুণদের মধ্যে, যেখানে একটা নির্দিষ্ট ভিটামিনের অভাবও সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই সঠিক ডায়েট গ্রহণ করতে হবে, যাতে উপরোক্ত খাবারগুল্ রয়েছে, এবং যদি সমস্যার পূর্বলক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে মনোবিদের পরামর্শ নিতে হবে।