হায়দরাবাদ: চুলকানি যেখানেই হোক না কেন, তা নিঃসন্দেহে বিব্রতকর । কারণ এর সঙ্গে পরিচ্ছন্নতার অভাবের যোগসূত্র থাকে। যোনিপথে চুলকানি একটি সাধারণ সমস্যা, তবে কখনও কখনও এই চুলকানির কারণে প্রচণ্ড ব্যথা, ফোলাভাব এবং ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে, তাই এটি উপেক্ষা করতে ভুল করবেন না ।
যদিও মহিলারা এই সমস্যাটি নিয়ে এতটা খোলামেলা কথা বলতে পারেন না, যার কারণে এই সমস্যাটি হালকা থেকে গুরুতর আকার ধারণ করেছে ৷ তবে জেনে নিন, যোনিতে তীব্র চুলকানি ব্যাকটেরিয়া, ইস্ট ইনফেকশন বা যৌনবাহিত রোগের কারণে হতে পারে (STD) এর কারণেও হতে পারে । যত তাড়াতাড়ি এটি সনাক্ত করা যায় তত ভালো । সময়মত প্রয়োজনীয় চিকিৎসার সাহায্যে এটি নিরাময় করা যেতে পারে ।
এসব কারণে যোনিপথে চুলকানি হতে পারে:
রাসায়নিকের কারণে যোনিপথে চুলকানি হতে পারে । এই জিনিসগুলি অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, যা চুলকানির পাশাপাশি ফুসকুড়ি হতে পারে । আজকাল যোনি পরিষ্কার রাখার জন্য টিভিতে অনেক পণ্যের বিজ্ঞাপন রয়েছে ৷ মহিলারা তাদের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং ব্যবহারের সঠিক উপায় না-জেনেই ব্যবহার শুরু করে । জেনে নিন, এগুলিও চুলকানির কারণ হতে পারে । এছাড়া সাবান, বাবল বাথ, ফ্যাব্রিক সফটনার, সেন্টেড টয়লেট পেপার, সিনথেটিক আবরণ যুক্ত স্যানিটারি ন্যাপকিনও চুলকানির জন্য দায়ী হতে পারে ।
ছত্রাক সংক্রমণ: ছত্রাক স্বাভাবিকভাবেই যোনিতে হয়, তবে এটি ক্ষতিকারক নয় ৷ যখন এর বৃদ্ধি খুব বেশি হয়ে যায় তখন এটি সংক্রমণের কারণ হতে পারে । যাকে ভ্যাজাইনাল ইস্ট ইনফেকশন বলে । এই কারণে চুলকানির সমস্যাও হয় ।
যৌনবাহিত রোগ: শারীরিক সম্পর্কের সময় প্রতিরোধ না নিলেও অনেক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যাকে এসটিডি (Sexually Transmitted Diseases) বলা হয় । এ কারণেও যোনিপথে চুলকানি হয় । এর মধ্যে রয়েছে ক্ল্যামাইডিয়া, জেনিটাল ওয়ার্টস, গনোরিয়া, জেনিটাল হার্পিসের মতো রোগ । এসব রোগে চুলকানির পাশাপাশি সবুজ বা হলুদ স্রাবও হতে পারে এবং প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া-সহ ব্যথাও হতে পারে ৷
মেনোপজ: মেনোপজের কাছাকাছি থাকা বা মেনোপজের মধ্য দিয়ে যাওয়ার পরেও যোনিপথে চুলকানির সমস্যা হতে পারে । ইস্ট্রোজেন হরমোনের অভাবের কারণে এটি ঘটে । এর কারণে মিউকাস মেমব্রেন শুষ্ক হয়ে যায় । যার কারণে চুলকানি চলতেই থাকে ।
আরও পড়ুন:
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)