হায়দরাবাদ: ঘুম থেকে উঠলে মেজাজ খিটখিটে, কাজে মন না বসা অথবা মাথা ধরা, অস্বস্তি কাজ করা ইত্যাদি লক্ষণ অনেক সময়ই কম বেশি উপলব্ধ হয়ে থাকে ৷ এই সব লক্ষণের একাধিকর কারণ হতে পারে ৷ তবে গবেষণা বলছে, এর মধ্যে অন্যতম কারণ হল সঠিক ঘুম না হওয়া ৷ পাশাপাশি ঘুমানোর ধরণ ভালো না হওয়াও একটি অন্যতম কারণ ৷
ব্রিটেনের ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দু'সপ্তাহ ধরে এই বিষয়ে গবেষণা চালিয়েছেন ৷ 18-22 বছর বয়সি 100 জনেরও বেশি অংশগ্রহণকারীদের উপরে পরীক্ষা করা হয়েছে ৷ তাঁদের কয়েকটি নিয়ম মানতে বলা হয়েছে ৷ যেমন, একটি ডায়েরি করতে বলা হয়েছে ৷ যেখানে আগের রাতের ঘুম সম্পর্কে লিখে রাখতে পারবেন ৷ কেমন ঘুম হয়েছে ৷ কখন তাঁরা ঘুমোতে গিয়েছেন, কোন সময়ে ঘুম-ঘুমভাবটা এসেছে বা শোওয়ার কতক্ষণ পরে ঘুম এসেছে ৷ এছাড়াও কখন ঘুম থেকে উঠেছেন ও সর্বোপরি ঘুম ভাঙার পর তাঁদের মন-মেজাজ কেমন থাকছে, তা সেই ডায়েরিতে প্রতিদিন লিখে রাখার কথা বলা হয় ৷
পাশাপাশি, দিনে পাঁচবার নিজেদের অনুভূতিও ডায়েরিতে লেখার কথা জানানো হয় গবেষকদের তরফে ৷ বলা হয়, ভাল-খারাপ যেমন অনুভূতিই হোক, তা যেন লিখে রাখা হয় ৷ শুধু তাই নয়, তাঁরা তাঁদের জীবনে কতটা ভালো আছেন, সেটাও নোট করতে বলা হয়েছে ৷ গবেষণার কারণে অংশগ্রহণকারীদের হাতে একটি অ্যাক্টিগ্রাফ পড়ানো হয়েছিল, যা তাঁদের গতিবিধি রেকর্ড করতে পারবে ৷
এরপর সেই সব রিপোর্ট দেখে চমকে যান গবেষকরা ৷ ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান লেখক অনিতা লেনিস বলেন, " অংশগ্রহণকারীদের মানসিক অবস্থা অনেকখানি প্রভাবিত করেছে তাঁদের ঘুমকে ৷ তাঁরা সারাটা দিন কেমন কাটাচ্ছেন, কী অনুভব করছেন, সেই সবকিছু প্রতিফলিত হয়েছে তাঁদের ঘুমে ৷ অর্থাৎ ঘুম গাঢ় হওয়া, কম ঘুম হওয়া, মাঝেমধ্যে ঘুম ভেঙে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা গিয়েছে ৷"
তিনি আরও বলেন, "যখন কোনও অংশগ্রহণকারী বলেন, যে, তিনি ভালো ঘুমিয়েছেন তার মানে তিনি অনেক বেশি পজেটিভ চিন্তাধারা নিয়ে চলেছেন ৷ যার প্রতিফলন ঘটেছে ঘুমের মধ্যে ৷ ঘুম ভালো হওয়ার কারণে তাঁদের দৈনন্দিন জীবনও স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর অনুভূতি সম্পন্ন ৷"
আরও পড়ুন: কনজাংটিভাইটিস রুখতে পাতে রাখুন এইগুলি
গবেষকদের এই পরীক্ষা ইমোশন নামে এক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে ৷ যার মূল কথাই ছিল, ঘুম যদি ভালো হয় তাহলে দিন শুরু হয় অনেক ভালো অনুভূতি নিয়ে ৷ অর্থাৎ আপনি নিজের খেয়াল কীভাবে রাখছেন, কেমন রাখছেন তার সবকিছু প্রতিফলন হয় ঘুমের মধ্যে ৷
(প্রতিবেদনটি সাধারণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা ৷ বিশদে জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ৷)