হায়দরাবাদ: গ্রীষ্ম এলেই আমাদের খাদ্যাভ্যাসেও অনেক পরিবর্তন আসে । এই ঋতুতে মানুষ এমন কিছু খেতে পছন্দ করে, যা শুধু শরীরকে ঠান্ডা রাখে না, প্রচণ্ড তাপ এবং হিট স্ট্রোক থেকেও রক্ষা করে । এই কারণে গ্রীষ্মকালে মানুষ কাঁচা আম খায় । এই মরশুমে মানুষ নানাভাবে কাঁচা আম খেতে পছন্দ করে । আমের পান্না হোক বা আমের চাটনি, মানুষ খুব উৎসাহের সঙ্গে খান।
কিন্তু আপনি কি জানেন যে স্বাদযুক্ত কাঁচা আমের চাটনি কেবল আপনার খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী । এখনও যদি কাঁচা আমের চাটনির এই উপকারিতাগুলি সম্পর্কে অবগত না হন তাহলে জেনে নিন এর উপকারিতা এবং এর রেসিপি ৷
পেটের জন্য ভালো: অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর কাঁচা আমের চাটনি যেমন সুস্বাদু তেমনি আমাদের পেটের জন্য খুবই উপকারী । আসলে এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম প্রভৃতি পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় যা আমাদের পাকস্থলীর জন্য উপকারী । এছাড়াও এতে পাওয়া এক বিশেষ ধরনের অ্যাসিড আমাদের পরিপাকতন্ত্রকে ঠিক করে ।
ডায়াবেটিসে উপকারী: আপনি যদি ডায়াবেটিক রোগী হয়ে থাকেন তাহলে কাঁচা আমের চাটনি আশীর্বাদের চেয়ে কম নয় । আসলে এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে খুবই সহায়ক। এতে অনেক উপাদান পাওয়া যায় যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে । কাঁচা আমের চাটনি খেলে শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ ভালো থাকে যা ডায়াবেটিসে খুবই উপকারী ।
ত্বকের জন্য ভালো: ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ কাঁচা আমের চাটনিতেও প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে । ভিটামিন সি ত্বক সুস্থ রাখতে খুবই সহায়ক । এমন পরিস্থিতিতে কাঁচা আমের চাটনি খাওয়া ফ্রি র্যাডিক্যালের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে । এর সঙ্গে এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং এতে উপস্থিত আয়রন রক্তশূন্যতা দূর করে যা ত্বকের উন্নতি ঘটায় ।
কীভাবে আমের চাটনি বানাবেন ?
উপাদান
250 গ্রাম কাঁচা আম, 6-7 লবঙ্গ রসুন, ধনে পাতা, পুদিনাপাতা, কালো লবণ স্বাদ অনুযায়ী, 2 চিমটি কালো মরিচ গুঁড়ো, 2 চিমটি জিরা গুঁড়ো, 2-3টি কাঁচা মরিচ ৷
প্রথমে কাঁচা আমের খোসা ছাড়িয়ে পাল্প আলাদা করে নিন । এবার খোসা ছাড়ানো রসুন, ধনে পাতা, পুদিনা পাতা, কাঁচা মরিচ ও আম দিয়ে মিক্সারে ভালো করে পিষে নিন । পিষানোর সময় আপনি চাইলে এতে 50 মিলিগ্রাম জলও যোগ করতে পারেন । এখন একটি মসৃণ পেস্ট প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত সমস্ত উপাদান ভালোভাবে পিষে নিন । মিহি পেস্ট তৈরি হয়ে গেলে তাতে কালো লবণ, জিরা গুঁড়ো, কালো গোলমরিচের গুঁড়ো দিয়ে মেশান ।
আরও পড়ুন: আজ থেকে কলার খোসাটা আর ফেলবেন না, জেনে নিন এর উপকারিতা
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)