নয়াদিল্লি, 23 মে: এখনই সাবধান হন ৷ জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং বার্ধক্যজনিত কারণে 2050 সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী 840 মিলিয়নেরও বেশি লোক পিঠের ব্যথায় ভুগতে পারে ৷ এমনটাই সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ল্যানসেট রিউমাটোলজি জার্নালে ৷ তাদের একটি মডেলিং সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে ৷ গবেষকরা 30 বছরেরও বেশি তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছেন যে পিঠের ব্যথার কারণগুলি পরিবর্তন হতে চলেছে ৷ এশিয়া এবং আফ্রিকার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে পিঠের ব্যথা ।
পিঠের ব্যথার চিকিৎসার উপর ধারাবাহিক পদ্ধতির অভাব এবং সীমিত চিকিৎসার বিকল্পগুলি নিয়ে গবেষকরা উদ্বিগ্ন যে এটি একটি স্বাস্থ্যসেবা সংকটের দিকে নিয়ে যাবে ৷ কারণ তাঁরা বলেছেন, পিঠের নীচের ব্যথা বিশ্বে মানুষের অক্ষমতার প্রধান কারণ । অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ম্যানুয়েলা ফেরেরা বলেন, "আমাদের বিশ্লেষণে বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান পিঠে ব্যথার ঘটনাগুলির একটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছে ৷ যা আমাদের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উপর প্রচুর চাপ সৃষ্টি করছে ।" ফেরেরা একটি বিবৃতিতে বলেছেন, "আমাদের পিঠের নীচের ব্যথা আয়ত্তে রাখার জন্য একটি জাতীয়, সামঞ্জস্যপূর্ণ পদ্ধতির প্রতিষ্ঠা করতে হবে ৷ যা গবেষণার মাধ্যমে তৈরি হবে ৷"
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, 2017 সাল থেকে পিঠের নীচে ব্যথার সংখ্যা 500 মিলিয়নেরও বেশি লোকে ভুগছে । 2020 সালে পিঠে ব্যথার প্রায় 619 মিলিয়ন ঘটনা সামনে আসে । পিঠের ব্যথার জন্য দায়ী পেশাগত কারণ, ধূমপান এবং অতিরিক্ত ওজন । একটি ভুল ধারণা হল যে পিঠে ব্যথা বেশিরভাগই কর্মরত প্রাপ্তবয়স্কদের হয় । তবে গবেষকরা বলেছেন, এই গবেষণাটি নিশ্চিত করেছে যে কম পিঠে ব্যথা বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি দেখা যায় । তাঁরা বলেছেন, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে পিঠের নীচে ব্যথার ঘটনা বেশি ।
আরও পড়ুন: ওজন কমানো থেকে উজ্জ্বল ত্বক ! এই উপায়ে পেঁপে খেলে আশ্চর্যজনক উপকার পাবেন